Beanibazarview24.com
আলোচিত টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীমের সঙ্গে পরিচিত ছিল নাটক ও সিনেমার অনেক পরিচিত মডেল ও অভিনেত্রীদের। নিজের মনোরঞ্জনের পাশাপাশি টেন্ডার বাগিয়ে নিতে টাকার পাশাপাশি তাদেরও ব্যবহার করতেন শামীম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জি কে শামীমের কাছে উচ্চ পদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তার নিয়মিত আবদার ছিল, শুধু টাকা দিলেই হবে না, উঠতি নায়িকার সঙ্গও পাইয়ে দিতে হবে।
সব কর্মকর্তাদের কাছে মডেল-অভিনেত্রীদের দীর্ঘ তালিকা পাঠাতেন শামীম। ছবিসহ সেই তালিকা দেখেই বাছাই করে নিতেন মডেল, নায়িকাদের। তবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা নন, একই পন্থা অবলম্বন করে প্রভাবশালী নেতাদের খুশি করতে ফ্ল্যাটে-তারকা হোটেলে মডেল, নায়িকাদের পাঠাতেন তিনি।
শুধু তাই নয়, এসব মডেল-অভিনেত্রীদের দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হতো। বিনিময়ে অল্প দিনেই নায়িকা থেকে কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক হয়েছে অনেক। তাদের কেউ কেউ এখন দামি গাড়ি ও দামি বাড়িতে বিলাশবহুল জীবন পার করছেন। জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের কাছে এ বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে জি কে শামীম ও যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
শামীম জানায়, শুধু টাকা দিলেও টেন্ডার পাওয়া যেত না। অনেকেই টাকার সঙ্গে নারীসঙ্গ চাইতো। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সুন্দরী নারীও পাঠানো হতো। ক্ষেত্রবিশেষ পাঁচ তারকা হোটেলে কক্ষের ব্যবস্থাও করতে হতো। শামীমের সঙ্গে সখ্যতা অর্ধশতাধিক সুন্দরী তরুণীর। এর মধ্যে এক ডজনেরও বেশি পরিচিত নায়িকা ও মডেল। টেন্ডার বাগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নেতাদের কাছে পাঠানো হতো তাদের।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানীর একটি তারকা হোটেল ও কাকরাইলের একটি হোটেল ব্যবহার করা হতো একান্তে সময় কাটানোর জন্য। টেন্ডার পাওয়ার পর পার্টি দেয়া হতো। পার্টি হতো দেশে ও বিদেশে। এসব পার্টিতে নিজ দলের নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও সহযোগীরা উপস্থিত থাকতেন। পার্টিতে পশ্চিমা পোশাকে হাজির হতেন সুন্দরীরা। মাদকে বুঁদ হয়ে সুন্দরীদের মধ্য থেকে যাকে খুশি কাছে টেনে নিতেন। বেশ কয়েকটি পার্টি হয়েছে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়ও। দেশের বাইরের পার্টিতে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন যুবলীগ দক্ষিণের শীর্ষ এক নেতা। কখনও কখনও হাজির হতেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাবেক প্রভাবশালী এক নেতা ও সংসদ সদস্য।
– বিডি-প্রতিদিন
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.