Beanibazarview24.com
বাঁ’শ,হ’কস্টিক বা স্ট্যা’ম্প দিয়ে পে’টানো হয়ে থাকতে পারে বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদকে। এর ফলেই অভ্যন্তরীন রক্তক্ষ’রণ বা পে’ইনের (ব্য’থা) কারণে ফাহাদের মৃ’ত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ম’রদেহের ময়নাতদন্ত শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. সোহেল মাহমুদ।
সোহেল মাহমুদ বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফাহাদের হাতে, পায়ে ও পিঠে আঘা’তের চি’হ্ন রয়েছে। এই আ’ঘাতের কারণেই তার মৃ’ত্যু হয়েছে। আঘা’তের ধরন দেখে মনে হয়েছে ভোঁতা কোনো জিনিস যেমন, বাঁশ বা স্ট্যাম্প দিয়ে আঘা’ত করা হয়েছে। তবে তার মাথায় কোনো আ’ঘাত নেই। কপালে ছোট একটি কাটা চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন ,সময়মত হাসপাতালে নিয়ে আসলে হয়তো আবরারকে বাঁচা’নো সম্ভব হতো। নির্যাতনের পর অনেকটা সময় বেঁচে ছিল আবরার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার শরীরে বিশেষ কোনো আঘা’তের চি’হ্ন নেই। হাতে, পায়ে ও পিঠে আ’ঘাতের স্থানে রক্তক্ষ’রণ ও পে’ইনেই তার মৃ’ত্যু হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে চকবাজার থানার ওসি আলী হোসেন খান মামলা দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন, ‘আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হ’ত্যা মা’মলা দা’য়ের করেছেন। মা’মলা নম্বর ১৪। ওই মা’মলায় আসামি ১৯ জন। এর মধ্যে আ’টকরাও রয়েছেন। তাদেরকে ওই মা’মলায় গ্রে’ফতার দেখানো হয়েছে।’
এর আগে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, আবরার হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করে বুয়েটের ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ আ’টক করেছে।
উল্লেখ্য, রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরারকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচে’তন অবস্থায় উ’দ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.