Beanibazarview24.com
সিলেটে চিকিৎসার নামে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে আটকে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কমর উদ্দিন ওরফে চাঁন মিয়া কবিরাজ ও তার স্ত্রী সুমি বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী সরিষপুর এলাকার এ ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী সরিষপুর এলাকার ‘সিফা তদবিরালয়ের’ মালিক কমর উদ্দিন ওরফে চাঁন মিয়া উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে তিনি সরিষপুরের আছদ্দর ম্যানশনে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন। স্থানীয়দের কাছে ‘ব্লাউজ মোল্লা’ হিসেবে বেশ পরিচিত তিনি।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোরে ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় কবিরাজের বাসার একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে নির্যাতিতা তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পরে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের দু’জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কবিরাজ ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে নির্যাতিতা তরুণীর মা বিশ্বনাথ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৪)।
তরুণীর মায়ের অভিযোগ, চিকিৎসার নামে অপচিকাৎসা দিয়ে বিভিন্ন তরুণীকে ওই কবিরাজ ধর্ষণ করেছেন। নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া তার বড় মেয়েকে সুস্থ করতে পারবেন বলে চ্যালেঞ্জ করে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে আটকে নির্যাতন করেছেন তিনি।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, নির্যাতিত তরুণীর মা অভিযোগ দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়ায় স্ত্রীসহ ওই কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.