Beanibazarview24.com
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিলেটের ছয়টি আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা যখন শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাদের সঙ্গে এখনও জামায়াতের নেতাকর্মীরা যোগ দেননি। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা সিলেটে তাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় সরব থাকলেও সংসদ নির্বাচনের সময় এসে তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীকে সিলেট-৫ আসন এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও সিলেট জেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমানকে সিলেট-৬ আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রার্থী না দেওয়ায় জামায়াতের নেতাকর্মীদের মনে ক্ষোভ রয়েছে।
সম্প্রতি দেখা গেছে, সিলেট-১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে নির্বাচনি প্রচারণা চালালেও এখনও পর্যন্ত জামায়াতের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নামেননি। তবে শুধু এই আসন নয়, এবারের নির্বাচনে সিলেটের অন্যান্য আসনগুলোতেও এমন চিত্রই দেখা গেছে।
জামায়াত সূত্র জানায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ থেকে সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসন জামায়াতকে ছাড় দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। এমন সিগন্যাল পেয়েই এই দুটি আসনে জোর তৎপরতা শুরু করেছিলেন জামায়াতের দুই প্রার্থী। তবে শেষ মুহূর্তে ঐক্যফ্রন্ট থেকে জামায়াতকে এই দুটি আসন ছেড়ে না দেওয়ায় নির্বাচনি প্রচারণা থেকে অনেকটা দূরে চলে যান নেতাকর্মীরা। তবে নির্বাচন যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হলে এসব আসনে ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দেবেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
আসন বণ্টনের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে সিলেট মহানগর জামায়াতের দায়িত্বশীল এক নেতার দাবি, গত সিটি নির্বাচনের পর সিলেটে সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার হয়েছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ও পুলিশের গায়েবি মামলার আসামি হতে হয় তাদের।
এদিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও সিলেট জেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান জানান, ধরপাকড় এড়াতে এসব আসনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ধানের শীষের পক্ষে কাজ না করলেও গোপনে তারা ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত গ্রেফতার করছে। সেই সঙ্গে একের পর এক সাজানো মামলা দিয়েই যাচ্ছে। যার কারণে এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে নামাটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
শেষ মুহূর্তে প্রচারণায় নামবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাঠে নামলেই যে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা হয়ে যায় তা কিন্তু সঠিক নয়। সবচেয়ে শক্তিশালি উপায় হলো গোপনে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়া। ইতোমধ্যে আমরা নির্দেশনাও দিয়ে রেখেছি জামায়াতের নেতাকর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে গোপনে কাজ করার জন্য। তবে নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্ত থেকে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণায় নামবে।’
সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও সিলেট-১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খন্দকার মুক্তাদিরের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, জামায়াত ঐক্যফ্রন্টের শরীক দল। এবারের নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হতে হলে সবাই একযোগে কাজ করতে হবে। তবে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণায় নামবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.