Beanibazarview24.com
কিছুদিন আগে পেঁয়াজের বাজারে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় কর্তৃপক্ষের নজরদারির ফলে তা কিছুটা কমলেও সিলেটে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ব্যবসায়ীরা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো দামে বিক্রি করছেন পেঁয়াজ। কেজি প্রতি কেউ ১৩০, কেউবা ১২০টাকায় বিক্রি করছেন। গেল এক সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকায়; কেজিতে তা ফের ২০-৮০ টাকা হারে বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ভোক্তা সাধারণ। এজন্যে তারা দায়ী করছেন আসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও নিয়মিত বাজার মনিটিরিং না করাকে।
জানা গেছে, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণার পরপরই দেশের বাজারে ওই পণ্যের দামে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। ২০-২৫ টাকা থেকে একলাফে ৮০-৯০ টাকা ধরে বিক্রি শুরু হয় পেঁয়াজ। দিনে দিনে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায় পেঁয়াজের দাম। পরে মিয়ানমার থেকে রপ্তানি শুরু হলে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে মোটেও এর প্রভাব পড়েনি।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা সদরে বিভিন্ন পাইকারি দোকানে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ১৩০ টাকায়। কেউবা বিক্রি করছেন ১২৫ টাকায়। সদর ব্যতীত অন্যান্য বাজারের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই পেঁয়াজ রাখছেন না ব্যবসায়ীরা। যারা রাখছেন তারা আরও উচ্চ মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। ফের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ।
ক্রেতা মো. ইকবাল আহমদ বলেন, বর্তমানে মোরগ বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। বাজারে মোরগের চাইতে পেঁয়াজের দাম বেশি। ১৩০ টাকা হলে গড়ে ১টি পেঁয়াজের দামই ১১-১২টাকা। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য মসলার সাথে পেঁয়াজ কেনা কঠিন হয়েছে পড়েছে।
খুচরা ব্যসায়ীরা জানান, পেঁয়াজ কিনতে আমাদের খরচ বেশি। তাছাড়া পঁচে নষ্টও হয় কিছু। তাই এমন দামে বিক্রি করছি আমরা।
পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল-জয়নাল’র পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, আড়তদাররা দাম না ছাড়লে আমাদের কিছু করার থাকে না। কেজি প্রতি খরচসহ ১১৬-১১৭ টাকায় কিনতে হয় আমাদের। সামান্য মুনাফায় ১২০টাকায় বিক্রি করি আমরা।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, শুধু এখানে না, সারা দেশেই দাম বেড়েছে। সকল উপজেলায় মনিটরিং করা হচ্ছে। শ্রীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.