Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

সিলেটে লন্ডনী কন্যা সেজে প্রতারণার ভয়ঙ্কর ফাঁদ শিউলির







পাত্রী দেখতে মোটামুটি সুন্দরী। চলাফেরা বিদেশীদের মতো। কথা বলেন ইংরেজি-বাংলার মিশ্রণে। বসবাস করেন সিলেট নগরীতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিজিট করেছেন। গল্প করেন কখনও নিউ ইয়র্ক, আবার কখনও ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের। আবার অনেক সময় গল্প করেন তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। তাকে বিয়ে করতে পাত্রের আগ্রহের কমতি থাকে না।

বিশ্বের প্রভাবশালী, ধনী রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য পাত্রীকে বিয়ে করতে আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে পাত্রসহ পাত্রের পরিবারের লোকজন। এ জন্য লাখ-লাখ টাকাও ব্যয় করেন। যেকোন চায়নিজ রেস্টুরেন্টে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়েও হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাসর রাতও করেন পাত্রের সাথে।



শুধু কি তাই! বিয়ে উপলক্ষে পাত্র ও পাত্রের পরিবারের নিকট থেকে গ্রহণ করেন স্বর্ণালংকার ছাড়াও নগদ অর্থ। তারপরই ঘটে আসল ঘটনা। প্রকাশ করেন নিজের আসল রূপ। হঠাৎ পাত্রী এবং তার স্বজনরা উধাও হয়ে যান। কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না তাদের।

অর্থ হারিয়েছেন, হারিয়েছেন সম্মান। তারপরও পেতে চান লন্ডনী বউ। এক মুরগী বার বার জবাই করার নামে এক কন্যাকে বিভিন্ন সময়ে লন্ডনী কন্যা সাজিয়ে বিয়ের নামে প্রায় ১০ যুবকের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয়া প্রায় কোটি টাকাও পড়েছে অনিশ্চয়তায়। আর তাই তো সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানের যুবকরা একজোট হয়ে কতিপয় ওই ভূয়া লন্ডনী কন্যাকে পেতে নতুবা তাদের কাছ থেকে লন্ডনী কন্যা বিয়ের নামে হাতিয়ে নেয়া প্রায় কোটি টাকা ফিরে পেতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন।



গল্পটা রসালো মনে হলেও এতে রয়েছে অসহায় যুবকদের চোখের নোনা জলের ইতিহাস। এ রকম বেশ কয়েকটি প্রতারক চক্র রয়েছে সিলেট নগরীতে। এমন কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ও ভুয়া ব্রিটিশ পাসপোর্টের কপি, ভুয়া বিয়ের কাবিনের ডকুমেন্ট বেরিয়ে আসে নয়া দিগন্ত অনলাইনের অনুসন্ধানে।

জানা যায়, সিলেট নগরীতে এসব প্রতারক চক্রের রয়েছে বড় সিন্ডিকেট। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাত্র খোঁজার জন্যও নিযুক্ত আছে দক্ষ লোকবল। বিয়ের জন্য পাত্র খোঁজার দায়িত্বে রয়েছে নির্দিষ্ট কয়েকজন ঘটক। প্রথমে শুরুটা হয় ঘটক দিয়ে। মূলত তারাই বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন।

পাত্রপক্ষের লোকজনকে বলেন- কনে আমেরিকান সিটিজেন, আবার কারো কাছে কনে’কে ইংল্যান্ডের সিটিজেন পরিচয় দিয়ে কনের ছবি, বায়োডাটা দিয়ে থাকেন।



অনুসন্ধানে এমন ঘটনাও জানা গেছে, টাকা নেয়ার পর পাত্র-পাত্রীর বিয়ে হয়েছে। কিন্তু হতভাগা পাত্র তার বিয়ে করা পাত্রীর সঙ্গে বাসর ঘরে যেতে পারেন না। প্রতারকরা বিভিন্ন কৌশলে বাসর করা থেকে পাত্রকে বিরত রাখে। আবার এর ব্যতিক্রম ঘটছে। বিয়ে হয়েছে, বাসরও হয়েছে। কিন্তু প্রতারকদের সহযোগিতায় পাত্রী দু’চারদিন কিংবা সপ্তাহ খানেক পর পাত্রের বাসা থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়। বিয়ের সময় সুন্দরী পাত্রীরা নকল বাবা-মা সাজিয়ে এরকম করে আসছে।



প্রতারকদের পাতা ফাঁদে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ধরা দিচ্ছেন। এরকম ঘটনা হরহামেশা ঘটছে সিলেট শহরে। ভুয়া প্রবাসী পাত্রীকে বিয়ে করার নামে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন নিরীহ যুবকরা। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই প্রতারক চক্রটির ফাঁদে পা দিয়ে অনেক যুবক সর্বশান্ত হয়েছেন।

এদের ফাঁদে পড়ে কেউ আট লাখ, কেউ দশ লাখ কেউ বারো লাখ এভাবে প্রায় ২০ বরের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শিউলি-শামিম-সুমন, খলিল, সাঈদ ও বাপ্পি চক্রটি।

যেভাবে বর পক্ষকে প্রস্তাব দেয়া হয়

সিটিজেন পাত্রী সাজিয়ে ঘটকরা বিভিন্ন পাত্রকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পাত্রীকে অবিবাহিত পরিচয় দেয়া হয়। আবার কোনো কোনো সময় বলেন পাত্রী বিবাহিত, তবে কোনো সন্তান নেই। তার মা গৃহিনী। ছুটিতে দেশে এসেছেন। শহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়েছেন। ওই পাত্রীর জন্য ধার্মিক-নামাজী ও ব্যবসায়ী পাত্র চাই।
ঘটকরা এভাবেই চটকদার কথাবার্তা বলে পাত্রপক্ষের লোকজনকে রাজি করে ফেলেন। একই পাত্রীর জন্য একাধিক পাত্রের সঙ্গেও চলে বিয়ে সংক্রান্ত আলোচনা। অনেক ক্ষেত্রে ঘটকরা যে পাত্রের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করা যাবে তাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। পাত্রীর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা একেক সময় একেকটি দেয়া হয়। এমন একটি প্রতারণার ডকুমেন্ট প্রতিবেদকের কাছে এসেছে।



সূত্র জানায়, দিলশানারা বেগম (ছদ্মনাম) নামে একজন লন্ডনী কনে এসেছে নগরীর উপশহরে বিয়ে করার জন্য। বয়স আনুমানিক ৩৮ বছর। আসল নাম শিউলি আক্তার। চেহারা দেখলে বুঝার উপায় নাই তার এতো বয়স। দেখতে বেশ সুন্দরী ও স্টাইললিস্ট নারী। তিনি নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে পরিচয় দেন।
পাত্রীর ভূমিকায় অভিনয়ে তার বেশ দক্ষতা রয়েছে। তাকে ঘিরেই সিলেটে একটি প্রতারক চক্র রয়েছে। আর এই চক্রটির কাছে প্রতিনিয়ত হয়রানী ও প্রতারিত হচ্ছে বিভিন্ন মানুষ। এক ঘটকের মাধ্যমে এমন খবর পান এক বরের পিতা।

তড়িঘড়ি করে বর ও বরের পিতা লন্ডনী কন্যার বাসা উপশহরে যান কনে দেখতে। প্রথম দেখায় বরের কনেকে পছন্দ হয়। ওইদিনই সেখানে কন্যার সাথে আংটি রদবদল ও বিয়ে ঠিক হয়। দু’দিন পরে বিয়ে হবে, সেই আশায় ঘটকের কিছু শর্তে পরের দিন বিয়ের অগ্রিম টাকা ও কনেকে স্বর্ণালঙ্কার দিয়েছিলেন বরের পরিবার।

শর্ত ছিল একটাই, সিলেট শহরে কনে পক্ষের অনেক শত্রু রয়েছে, তাই বিয়ের বিষয়টি নিজের পরিবারের লোক ছাড়া যেনো কেউ না জানে। আর বিয়ে হবে গোপণে স্থানীয় কোনো চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এবং রেস্টুরেন্টের খাবার আর হলরুম ভাড়া দিবে কনেপক্ষ।

গত ৫ এপ্রিল শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য করে আংটি বদল হয় সেই বর-কনের মধ্যে। বিয়ে করে লন্ডনী বধূকে ঘরে তোলার জন্য সব আয়োজন করেছিলেন বরের পরিবার। শুক্রবার বিয়ে করতে ঘটকের কথামতো বর সেজে কাজীসহ ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে গিয়েছিলেন নগরীর একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে।

সেখানে গিয়ে কনেপক্ষের কারো দেখা না পেয়ে ঘটকের মোবাইল ফোনে কল করেন বরের পিতা। ঘটকের মোবাইল ফোন বন্ধ, কনেরও মোবাইল ফোন বন্ধ! অপেক্ষা করেন কনেপক্ষ আসবে। কিন্তু কেউ আসলো না! পরে কনের বাসায় গিয়েও কনে পক্ষের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তখন বরের পরিবার বুঝতে পারেন তারা প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন।

বিষয়টি জানাজানির কারণে বরের পরিবারের লোক এই ভুয়া লন্ডনী কনের প্রতারণার জন্য আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন। খুঁজছেন সেই প্রতারক কনে শিউলি আক্তারকে। অনুসন্ধানে সন্ধান মিলে সেই প্রতারক ভুয়া লন্ডনী কনে শিউলি ও তার চক্রের। প্রতারক লন্ডনী কনে শিউলি আক্তার একজন নারী নেত্রী। প্রভাবশালীদের যোগসাজশে অভিযোগের পাহাড় গড়েছেন তিনি।

এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে কয়েকজন যুবক নামপ্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার সাথে লন্ডনী কন্যার বিয়ের কথাবার্তা পাকা হবার পর কথিত এক লন্ডনী কন্যাকে নিয়ে ঢাকায় রাত্রী যাপনও করেছেন তিনি। তিনি পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, লন্ডনী কন্যা বিয়ের নামে প্রতারণার শিকার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা এলাকার যুবক।

কুলাউড়ার নাছির উদ্দিন রুহেল (ছদ্মনাম) বলেন, এই কয়েকটা মানুষ তাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে। একই কন্যার বর সেজে তারা হয়েছেন ভায়রা ভাই।

এই চক্রের প্রতারণার ফাঁদে পরে সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিশেহারা হুমায়ুন মিয়া (ছদ্মনাম)। আশা ছিলো লন্ডনী কনে বিয়ে করে প্রবাসে পাড়ি জমানোর। তাই তিনি লন্ডনী কনে বিয়ে করে এখন সর্বস্ব হারিয়ে শূন্য হাতে ফিরছেন।

এই প্রতারক চক্রের কবলে পড়া আরো একজন সিলেটের ওসমানী নগরের তাজপুরের আমিন (ছদ্মনাম) নামের এক যুবক। খলিল, সাঈদ ও বাপ্পি নামের এক ঘটকের মাধ্যমে ব্রিটিশ সিটিজেন এক পাত্রীর ছবি দেখেন তিনি। ছবি দেখে পাত্রী মোটামুটি পছন্দ হয়। তখন ঘটক পাত্রপক্ষের লোকজনকে মোবাইল ফোনে আলাপ করিয়ে দেন পাত্রীর মামা পরিচয়ে শামীম আলম ওরফে শক্কুর আলী নামের এক ব্যক্তির সাথে।

আস্থা অর্জন করতে ব্যস্ততা দেখায় শামীম। অপরপ্রান্ত থেকে ওই ভদ্রলোক পাত্রীকে দেখা করার আমন্ত্রণ জানান। তিনি পরদিন পাত্রী দেখতে নগরীর উপশহর স্পিন গার্ডেন টাওয়ারের একটি ফ্লাটে আসেন। এসময় পাত্রের সাথে তার অভিভাবকরাও যান সেখানে। দুইপক্ষের দেখাদেখি-কথাবার্তা হয়। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী ঠিক হয় বিয়ের দিনক্ষণ।পাত্র ও পাত্রী দুজন কয়েক মিনিট ভিডিওকলে একান্ত আলাপ করেন। তখন শিউলি আক্তার সরাসরি পাত্রকে পছন্দ হওয়ার কথা বলেন। এরপর সেই ছেলেকে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দেয়ার আগ্রহের কথা জানায় শিউলি।

তারপর রাতে শিউলির কল। শুরু হয় আলাপচারিতা। অল্পতেই পাত্রকে প্রেমে মজাতে চেষ্টার কমতি নেই শিউলির। ফোনে আলাপ শুধু শিউলির সঙ্গে না। কথা হয় পাত্রীর মা পরিচয়ে লাভলী’র সঙ্গেও। বিয়ে করেই দেশ থেকে শিউলি লন্ডনে পাড়ি জমাবেন। সেখানে ইলিগ্যাল (অবৈধ) ওই পাত্রকে লিগ্যাল (বৈধ) করিয়ে দেয়ার জন্য বলেন।

বিয়ের পর এভাবে দূরে থাকা যাবে না মোটেও। তাই দ্রুত বিয়ের প্রস্তুতি নিতে বলা হয় পাত্রকে। এমনকি প্রথম দেখাতেই যেন তাকে আংটি পরানো হয়- এ রকম ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে শিউলি।

শিউলির মা পরিচয়দানকারী লাভলী বেগম জানায়, ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দেয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু সময় কম। তাই সেভাবে না হলে বিয়েতে খরচের কোন কমতি হবে না। বাকিটা শিউলি নিজেই পাত্রকে বলে, বিয়েতে আমি ১৫ লাখ টাকা খরচ করব। আপনি ৮ লাখ টাকা খরচ করবেন। এতো টাকার অঙ্ক শুনে প্রথমে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান মধ্যবিত্ত পরিবারের ওই পাত্র। এরপরও পাত্রপক্ষের লোকজন রাজি হন।

এরই মধ্যে ভুয়া কাজীর মাধ্যমে বিয়ে-কাবিন সবই হয়। তবে সবই ভুয়া। জালিয়াতি করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাসর রাত উদযাপনেরও আয়োজন করা হয়। এরমধ্যেই সুযোগ বুঝে অর্থ-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় পাত্রী ও তার স্বজন পরিচয় দানকারীরা। তারপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় তাদের ফোন।
পরে কাবিননামায় দেয়া ঠিকানায় খুঁজে এ রকম কারও অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। চলতি বছরের শুরু থেকে এ রকম অন্তত ৬টি ঘটনার তথ্য ও ডকুমেন্ট এই প্রতিবেদকের কাছে এসেছে।

কে এই শিউলি আক্তার?

দিলশানারা বেগম তার ছদ্মনাম। তার আরো অনেক নাম আছে। এই নামটি তিনি ব্যবহার করেন প্রতারণার ক্ষেত্রে। তার আসল নাম শিউলি আক্তার। তিনি জাতীয় মহিলা পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগরের সভাপতি। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কুনারই গ্রামের মৃত তৌহিদ উল্লাহর মেয়ে তিনি। বর্তমানে শিউলি নগরীর মেন্দিবাগস্থ গার্ডেন টাউয়ারের ৮ তলার ৪০৮৬ নং ফ্লাটে বসবাস করেন।

এখানে শামীম আলম নামের এক ব্যক্তিকে নিজের স্বামী পরিচয়ে দিয়ে বসবাস করছেন শিউলি। প্রতারণার সময় নিজের নাম শামীম নাম ব্যবহার করেন মিষ্টার ডেভিড হিসেবে। নিজেকে পরিচয় দেন শিউলির নানা, চাচা, মামা বলে।

তাছাড়া শিউলির ২০/২২ বছরের এক ছেলে রয়েছে। শিউলি বাংলাদেশী নাগরিক হলেও পরিচয় দেন ব্রিটিশ সিটিজেন আবার কোন সময় আমেরিকান নাগরিক হিসেবে। তার রয়েছে একটি ভূয়া ব্রিটিশ পাসপোর্ট।

প্রভাবশালীদের যোগসাজশে নারী নেত্রী শিউলি আক্তার প্রতারণার পাহাড় গড়েছেন। মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা, ফ্লাটে দেহ ব্যবসা, হুমকি, লন্ডনী কনে সেজে প্রতারণার ছবি, ভিডিওসহ অসংখ্য অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে স্ংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। বর্তমানে তিনি নগরীর উপশহরে সি ব্লকের ৩৮ নং রোডের প্যারিস ভিলার নীচ তলার একটি ফ্লাট থেকেই এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জিদান আল-মূছা বলেন, এমন প্রতারণার তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। যারা প্রতারিত হয়েছে এসব ভূক্তভোগিদের সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ প্রদানের জন্য তিনি পরাদর্শ দিয়ে বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.