সিলেটে হিজড়া সেজে বেপরোয়া চাঁদাবাজি!

সিলেটের বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, পার্ক, খেলার মাঠ, বাস, ট্রেন সর্বত্রই হিজড়াদের উৎপাত। তাদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে রীতিমত অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছেন মানুষ। নিয়মিত চাঁদাবাজির পাশাপাশি শুরু হয়েছে চাঁদাবাজি। চাঁদার হার করা হয়েছে কয়েকগুণ বেশি। আগে যেখানে ১০/২০ টাকা দিয়ে পার পাওয়া যেত সেখানে এখন ৫০/১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। টাকা না দিলে অনেকটা হেনস্থা করা শুরু করে। মান সম্মানের ভয়ে অনেকেই টাকা দিতে বাধ্য হন।



তারপরও যারা টাকা দেন না তাদের সঙ্গে করা হয় অসভ্য আচরণ। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে হিজড়ারা এমন আচরণ করে চাঁদা তুলে। কিন্তু তারা শুধুমাত্র দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এর চেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো আসল হিজড়াদের ভিড়ে নকল হিজড়াদের উৎপাত বেড়েছে আশংকাজনকভাবে। আসল হিজড়াদের চেয়ে বেপরোয়া আচরণ করে নকল হিজড়ারা।



গতকাল রোববার বিকালে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানা সংগলœ এলাকা থেকে রানা ভূইয়া ও সুমন নামের দুই নকল হিজড়াকে আটক করে আসল হিজড়ারা। পরে তাদের পুলিশে দেন সুন্দরী হিজড়া।

হিজড়ারা জানায় সিলেটের হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সুন্দরী হিজড়ার ২শ’র উপরে হিজড়া রয়েছে। কিন্তু রানা ভূইয়া একজন হিজড়া সেজে চাঁদাবাজি করে লাখ পতি হয়ে গেছে। রানা ভূইয়া সিলেট হিজড়া বাউল সংগঠন নাম দিয়ে আসল হিজড়াদের ম্যনেজ করে এই ভূয়া সংগঠনের মাধ্যমে হিজড়াদের দিয়ে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্টান থেকে টাকা আদায় করে থাকে বলে অভিযোগ করেছেন সিলেটের চাঁর হিজড়া তারা হলেন, মেহেদি হিজড়া , রুমন হিজড়া,সুমি হিজড়া,রাজু হিড়া তারা বলেন রানা ভূইয়া আমাদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মারধর করে বিয়ে অনুষ্টানে পাঠিয়ে টাকা আদায় করতো এখন আমরা টাকা চাইলে সে আমাদের মারধর করে।



রানা ভূইয়া নকল হিজড়া তৈরির পেছনে কাজ করছেন, সমাজের ভাল পরিবারের ছেলেদের দরিয়ে এদের নকল হিজড়া বানায় রানা ভূইয়া। পরে তাদের বেপরোয়া কাজে অনেক সময় আসল হিজড়ারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে।



সিলেট হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সুন্দরী হিজড়া আরও জানান, রানা ভূইয়া নকল হিজড়া সে আমাদের হিজড়া কল্যাণ সংস্থার কেউ না। রানার বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সিলেটের শান্তিকামী মানুষজন। তাই আমি আসল হিজড়াদের অনুমতি দিয়েছি তাকে আটক তারা আমার অনুমতিক্রমে তাকে আটক করে নিয়ে আসে পরে আমি তাকে পুলিশে দেই।