Beanibazarview24.com
সিলেটের সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরোহীর মৃত্যু নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে হেলমেট না থাকার কারণেই ছোটখাটো দুর্ঘটনাতেই হয় মৃত্যু। এজন্য ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে মোটরবাইক চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে হেলমেট ব্যবহার ও দুইজনের বেশি আরোহী বহন না করতে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করেও কোন কাজ হচ্ছিলো না।
নানা কড়াকড়িতেও কাজ না হওয়াতে এবার ভিন্ন ও ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
এ উদ্যোগের নাম ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’। অর্থাৎ এবার হেলমেট ছাড়া কোন মোটরসাইকেল আরোহী আর পেট্রোল কিনতে পারবেন না। ইতোমধ্যে নতুন এ উদ্যোগ নিয়ে ট্রাফিক বিভাগের সাথে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতিও একমত পোষণ করেছেন।
‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’ উদ্যোগটি আগামী ১ অক্টোবর ঘোষণা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ।
তিনি সিলেট ভয়েসকে বলেন, দিন দিন মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তার একমাত্র কারণ হলো বেপরোয়াভাবে চালানো ও হেলমেট ব্যবহার না করা। তাই বেপরোয়া মোটরসাইকেল ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন থেকেই অভিযান চলছে। বর্তমানে কেউ যাতে কোনো অবস্থায় হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাতে না পারে সেজন্য ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পাম্প মালিক সমিতিও এ সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন থেকে হেলমেট ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেদিকে লক্ষ্য ছিলো না মোটরসাইকেল আরোহীদের। বিশেষ করে হেলমেট ব্যবহারে অনীহা ছিল তরুণদের মাঝেই বেশি। তাই প্রায়ই ঘটতো দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার ভয় থাকলেও অবহেলায় আর অসচেতনতায় হেলমেট ব্যবহার করা করলেও এখন বাধ্য হয়েই ব্যবহার করতে হবে। এমনটা ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
নগরীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোটরসাইকেল আরোহী নাহিয়ান খান বলেন, আগে ইচ্ছা করেই হেলমেট ব্যবহার করতাম না। গরম লাগত। তাছাড়া মাথায় নিয়ে ঘুরতে ভালো লাগত না। কিন্তু এখন এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে বাধ্য হয়েই ব্যবহার করতে হবে।
এতে ক্ষতি নাকি ভালো হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- অবশ্যই ভালো হবে। মূলত আমাদের বাবা-মাও চান আমরা হেলমেট ব্যবহার করি। কিন্তু অসচেতনতার কারণে হয় না। তাই বাঙালি হিসেবে চাপে থাকাতেই আমরা বেশি অভ্যস্ত।
এদিকে সিলেট বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মস্তফা কামাল সিলেট ভয়েসকে বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর ট্রাফিক বিভাগ আমাদের সাথে এ বিষয়ে সভা করে সহযোগিতা চেয়েছেন। সভায় আমরাও একমত পোষণ করেছি। আমরাও চাই এই কর্মসূচি চালু হোক। এখন ট্রাফিক বিভাগ অফিসিয়ালভাবে একটি চিঠি দিলেই আমরা তা কার্যকর করবো। আমরা হেলমেট ছাড়া কাউকে পেট্রোল দিব না।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.