Beanibazarview24.com
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব বাংলাদেশিদের অন্যতম শ্রমবাজার। দেশটি এবার অভিবাসী শ্রমিকদের কোনো শর্ত ছাড়াই কফিল (মালিক) পরিবর্তনের অনুমতি দিয়েছে। সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ২৭ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি আরবে অধিকাংশ শ্রমিক কোনো না কোনা আইনের মারপ্যাচে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। এক মালিকের কাছে কাজ করার কারণে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ শোনা গেছে। তবে প্রবাসীরা এ সুযোগের মাধ্যম আশার আলো দেখছেন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে পুরো সৌদি আরব লকডাউন ও হোম কোয়ারান্টাইনের জন্য শ্রমিকরা নিজ নিজ বাসায় অবরুদ্ধ।এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ajeer.qiwa.sa এটি কার্যকর করা হবে। পোর্টালটি নিয়োগকারী এবং কর্মচারীদের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন ব্যবস্থার অধীনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ধরণ ছাড়াই বিদেশি কর্মীদের স্থানান্তর করতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতি চলাকালীন মন্ত্রণালয় ঘোষিত একাধিক উদ্যোগের মধ্যে এটিও একটি।
সৌদিপ্রবাসী বাংলাদেশিরা দীর্ঘদিন ধরে এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে সৌদি সরকার সেই সুযোগ দেওয়ায় অনেক বাংলাদেশি এখন ভালো কাজের সুযোগ পাবেন। তবে একটি কারখানা থেকে ২০ শতাংশের বেশি শ্রমিক মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবে না।
এর আগে, পাঁচ বছর ধরে ইকামা পরিবর্তন ও পেশা পরিবর্তনের সুযোগ না পাওয়ায় দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমিকেরা নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। সমস্যা আরও বাড়ে ২০১০ সালে সৌদি সরকারের ‘সৌদিয়ান’ কর্মসূচির ফলে। ওই নিয়মে প্রতি কারখানায় ২০ শতাংশ সৌদি নাগরিক থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়।
অন্যথায় ওই প্রতিষ্ঠানটিকে রেড ক্যাটাগরিতে ফেলার ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশি শ্রমিকেরা বেশির ভাগই রেড ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় তারা ইকামা নবায়ন করতে পারছিলেন না। ফলে তারা দিন দিন অধিক হারে অবৈধদের তালিকায় পড়ে যাচ্ছিলেন।
২০১৪ সালের ২৯ আগস্ট প্রকাশিত সৌদি সরকারের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি ভারতের শ্রমিক কাজ করেন। তাদের সংখ্যা ২০ লাখ। আর দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ১৫ লাখের ওপরে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.