Beanibazarview24.com
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের গাড়ি বহরে পুলিশি বাধার অভিযোগ করেছে তাঁর সমর্থকরা। তবে পুলিশ বলছে, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্গণ করে মোটরসাইকেল শোডাউন করায় পুলিশ বাধা দিয়েছে।
এসময় পুলিশের সাথে সুলতান সমর্থকদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে বিজিবির একটি টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই ঘটনায় কুলাউড়া থানার এসআই জহিরুল ইসলামসহ তিন পুলিশ আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।
বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল জামাল ও উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি এম ফয়েজ উদ্দিন জানান, রাউৎগাঁও ইউনিয়নে পথসভা করার উদ্দেশ্যে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুর ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী রওয়ানা দেন। এসময় উনার গাড়ির সাথে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেলে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর কোন কারন ছাড়াই পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় ১০/১৫জন নেতা-কর্মী আহত হন।
সোমবার ২৪ ডিসেম্বর দুপুর ২টার দিকে উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের সমর্থকেরা রাউৎগাঁও ইউনিয়নের পুরসাইবাজার থেকে মোটরসাইকেল দিয়ে শোডাউন দিতে চাইলে পুলিশ এসে বাধা দেয়, পরে লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশি বাধাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল আটক করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে। পরে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক তিনবারের সাংসদ এড. নওয়াব আলী আব্বাস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় দেবনাথ জানান- ‘ওই ঘটনায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। আমার এক পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করেছেন সুলতান মনসুর স্যার।’
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মূসা বলেন- ‘একটি গোলযোগের চেষ্টার খবর পেয়ে আমার পুলিশ সদস্যরা রাউৎগাঁও এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় উনার (সুলতান মনসুর) বডিগার্ড, সমর্থকরা আমার তিন পুলিশ অফিসারকে মারধর করে।’
সূত্রঃ সিলেটভিউ২৪ডটকম
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.