Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

স্টেশনে মাছ বিক্রি করে পড়াশোনা; তরুণী এখন সোশ্যাল স্টার








তার নাম হানান হামিদ। পারিবারিক অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না যে মাছ বিক্রি করে পড়াশোনা করতে হবে। কিন্তু মদ্যপ বাবার কারণে প্রায় সবকিছুই শেষ হয়ে গেছ। ভারতের কেরালার এই তরুণী হানান হামিদ হাল ছাড়ার পাত্রী নন।

কোচির আল আসার কলেজের রসায়ন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী হানান তাই বেছে নিলেন মাছ বিক্রির পেশা! লেখাপড়ার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে রেল স্টেশনে মাছ বিক্রি করেন হানান হামিদ। আর সেই খবর নিয়েই তুলকালাম সোশ্যাল মিডিয়ায়।



হানানকে নিয়ে কেরলের প্রথম সারির একটি দৈনিক খবর প্রকাশ করলে হইচই পড়ে যায়। ওই খবরে বলা হয়, নিজের লেখাপড়ার খরচ নিজে তুলতে অন্ধকার থাকতে থাকতেই বিছানা ছাড়তে হয় হানানকে। দিবাগত রাত ৩টার সময় বেরিয়ে পড়তে হয় সাইকেল নিয়ে। চম্বক্করার পাইকারি মাছ বাজার থেকে মাছ কিনে অটোতে করে তা নিয়ে আসেন কোচির থাম্মানান এলাকায় নিজের বাড়িতে।



ওই খবরে আরও বলা হয়, বাড়ি ফিরেই শুরু হয় কলেজ যাওয়ার প্রস্তুতি। লোকাল বাসে ৬০ কিলোমিটার দূরের কলেজ। সারা দিন ক্লাস করে ফিরে বাজার কিংবা রেল স্টেশনে শুরু হয় মাছ বিক্রি। রাতে বাড়ি ফিরে আবার ভোর ৩টায় উঠে মাছ কিনতে যাওয়া। এটাই হানানের প্রতিদিনের রুটিন।

ওই খবরে আরও বলা হয়েছে, মদ্যপ বাবা অনেক দিন আগেই সংসার ছেড়ে চলে গেছেন। মা মানসিক ভারসাম্যহীন। এই পরিস্থিতিতে সংসার সামলানো আর লেখাপড়া চালানোর কঠিন লড়াইটা সামলাতেই হয় হানানকে।



এই খবর প্রকাশের পরেই ওই সংবাদপত্রের ফেসবুকে ঝড় ওঠে। বহু মানুষ যেমন এই লড়াইকে কুর্নিশ করেছেন তেমনই আবার অনেকেই পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। হানান শুধু লেখাপড়াতেই ভালো নয়, সে অভিনয় ও আবৃত্তিতেও পারদর্শী। তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য যারা এগিয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের দক্ষিণি ছবির পরিচালক অরুণ গোপি। তার আগামী ছবিতে হানানকে অভিনয় করার প্রস্তাবও দিয়েছেন গোপি।



এত কিছুর মধ্যে হানানকে বিরূপ মন্তব্যও শুনতে হয়েছে অনেক। ওই খবর প্রকাশের পরে সংবাদপত্রের ফেসবুকে অনেকেই সিনেমায় সুযোগ পাওয়ার জন্য সাজানো ঘটনা বলে কমেন্ট করেছেন। এর জবাবে সংবাদ মাধ্যমকে হানান বলেছেন, ‘’যাঁরা সমালোচনা করছেন তারা আমাকে জানেন না। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় থেকেই আমায় প্রতিদিনের লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’



হানানের এই লড়াইয়ের কথা স্বীকার করেছেন আল আসার কলেজের প্রধানও। এদিকে মাছ বিক্রির সময় এক বখাটে উত্যক্ত করছিল হানানকে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ওই বখাটেকে গ্রেপ্তারও করেছে। সকলের প্রত্যাশা, কোনো একটা চাকরি জুটে গেলে হয়তো এতটা কষ্ট করে আর পড়াশোনা করতে হবে না হানানকে








You might also like

Comments are closed.