Beanibazarview24.com
জোবেদ আলী। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বয়স ১১৯। এ বয়সেও তিনি স্বাভাবিক চলাফেরা করেন। জোবেদ আলীর স্বাভাবিক চলাফেরা ও কাজকর্ম এলাকার মানুষের কাছে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি করেছে। এ বয়সেও তিনি খালি চোখে কুরআনসহ পত্রিকা পড়েন। কোনো কাজে বাড়ি থেকে বের হলেই শতবর্ষী এ বৃদ্ধকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ।
জোবেদ আলী কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট ইউনিয়নের মেকুরটারী তেলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয় পত্রে তার জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ২৫ অক্টোবর ১৯০০ ইংরেজি সাল। সে হিসেবে তার বর্তমান বয়স ১১৯ বছর হলেও তার বয়স আরও বেশি। মেকুরটারী তেলীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর পুত্র তিনি। তার স্ত্রী ফয়জুন নেছা (৮৭), ৩ পুত্র ও ৪ মেয়ে রয়েছে।
বৃদ্ধ জোবেদ আলী জীবনে কোনো দিন ফজরের নামাজ কাজা করেননি। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন ধর্মভীরু। তিনি ১০০ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি স্বাভাবিকভাবে নিয়মিত কুরআন মাজিদ তেলাওয়াতসহ বিভিন্ন বই ও পত্রিকা পড়েন।
এ বয়সেও তার বড় ধরনের কোনো রোগ নেই। শরীর এখনও তাঁর ভাল আছে। ছোট বেলা থেকে যুবক বয়সে তিনি নিজের বাড়ির উৎপাদিত মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, আবাদি বিতরী ধানের ভাত, খাঁটি ঘি, সরিষার তেল, রাসায়নিক সারবিহীন শাক-সবজি নিয়মিত খেতেন।
তিনি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর এবং রাতে নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করেন। কুরআন মাজিদ ছাড়াও পত্রিকা পড়ার নেশা রয়েছে তার।
বৃদ্ধ জোবেদ আলী বলেন, ‘আমি জীবনে কোনো দিন ফজরের নামাজ কাজা করিনি। ১১৯ বছরেও আমি সুস্থ্য আছি, খালি চোখেই বই ও পত্রিকা পড়ি। ফজরের নামাজের পর কুরআন তেলাওয়াত করি। তাই হয়তো আল্লাহ পাক আমাকে সুস্থ্য রেখেছেন। এ জন্য জোবেদ আলী আল্লাহর শুকিয়ার আদায় করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.