Beanibazarview24.com






১০৪ বছর আগের কথা। তৎকালীন ব্রিটিশ উপনেবিশের একটি অংশ অবিভক্ত বাংলা। ব্রিটিশদের প্রবর্তিত আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা তেমন প্রসার লাভ করেনি। যতটুকুও বা প্রসার, তার চেয়ে বেশি ছিল প্রতিবন্ধকতা। ছিল বিদ্যালয়ের অভাব। তখন দশ গ্রামেও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না, ইতিহাস ঘেঁটে আমরা এমন তথ্য পাই। কেমন ছিল তখনকার পড়াশোনার ধরন? কী ধরনের প্রশ্ন আসত পরীক্ষায়?




এসব কৌতুহলের কিছুটা ধারণা এ যুগের মানুষ পেয়ে থাকেন পূর্বসুরীদের মুখ থেকে। তবে চাক্ষুষ দেখা গেলে ভালো হয় না? দাদা-পরদাদাদের শিক্ষাব্যবস্থার একখণ্ড চিত্র এ যুগে বসে দেখতে পেলে মনটা কেমন সেই যুগে ফিরে যেতে চায়।




সম্প্রতি সবাইকে এই ভালোলাগার অনুভূতি দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি গ্রুপ। বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবিসমগ্র নামের গ্রুপটিতে ১৯১৯ সালের একটি প্রশ্নপত্রের ছবি পোস্ট করেন মো. মমিনুল ইসলাম শাহীন নামে এক ব্যক্তি। সেখানকার লেখা অনুযায়ী কোনো একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল সেটি।




শাহীন জানান, প্রশ্নপত্রটি ছিল তার প্রপিতামহের (বাবার দাদা)। তবে তিনি কোন বিদ্যালয়ে পড়তেন তা জানা যায়নি।
প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ে পাঁচটি করে প্রশ্নের মধ্য থেকে চারটির উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যার পূর্ণমান ১০০ (৫০+৫০)। প্রতিটি প্রশ্নের মান ছিল সমান।
শাহীনের প্রপিতামহের মৃত্যু হয় মুক্তিযুদ্ধের আগেই। তার দাদাও মারা যান অনেক বছর আগে। আর চার বছর আগে মারা যান শাহীনের বাবাও। সে কারণে এ প্রশ্নপত্রের বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
পোস্টদাতা শাহীন জানান, বাড়ির পুরনো দলিল-দস্তাবেজ খুঁজতে গিয়ে তিনি এটির সন্ধান পেয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা নেই তারও। পূর্বপুরুষদের কেউই আর জীবিত না থাকায় এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলতেও পারেননি তিনি।
শাহীনদের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও গ্রামে। প্রশ্নপত্রের পরীক্ষার্থী ছিলেন তার পিতামহ ওয়ালীউল্লাহ ব্যাপারীর বাবা।
পুরনো জিনিস মানুষকে স্মৃতিকাতর করে তোলে। নিয়ে যায় এক অব্যক্ত অনুভূতির দুনিয়ায়। প্রিয় পাঠক, আপনাদের কাছে এমন স্মৃতিমধুর-ঐতিহাসিক কোনো দলিল-কাগজ কিংবা জিনিসপত্র থাকলে তা পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে তা সানন্দে প্রকাশে ইচ্ছুক আমরা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.