Beanibazarview24.com






টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার ইচ্ছা রাসেল বিশ্বাস লালের। কিন্তু ইতোপূর্বে কখনো টাঙ্গাইল আসেননি। বাসে আসলে আশপাশে পরিবেশ দেখা যাবে না। তাই সাইকেল নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানও সাইকেল নিয়ে আসতে উৎসাহিত করেছেন। সেই উৎসাহ থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে গোপালপুরে পৌঁছেছেন বৃহস্পতিবার দুপুরে।
৫৮ বছর বয়সি রাসেল বিশ্বাসের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী পৌর এলাকার পশ্চিম গারাখোলা এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুল ছাত্তার বিশ্বাসের ছেলে। পেশায় তিনি বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি।
রাসেল বিশ্বাস জানান, পত্রপত্রিকায় গোপালপুরের পাথালিয়া ২০১ গম্বুজের কথা তিনি জানতে পারেন। তিনি শুনেছেন এ মসজিদে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ জুমার নামাজ পড়তে আসেন। তারও শখ হয় এ মসজিদে নামাজ পড়ার।
তিনি জানান, বাসে আসলে আশপাশের কোনো কিছু দেখা হবে না কিন্তু সাইকেল নিয়ে আসলে ফরিদপুর থেকে গোপালপুর পর্যন্ত নানা এলাকা দেখা হবে। তাই বুধবার সকাল ৬টার দিকে মধুখালী নিজ বাড়ি থেকে সাধারণ একটি সাইকেল নিয়ে গোপালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কোনো বিরতি না দিয়ে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। পৌঁছান দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ফেরিতে নদী পার হয়ে আরিচা প্রান্তে আসেন। তারপর আবার সাইকেল চালানো শুরু করেন।
মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর হয়ে দৌলতপুর উপজেলা সদরে আসেন বুধবার দুপুরে। সেখানে মধ্যাহ্নের খাবার খেয়ে আবার যাত্রা শুরু করেন। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পার হয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অলোয়া এলাকায় একটি মসজিদে রাতযাপনের উদ্যোগ নেন; কিন্তু ওই এলাকার মতিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তি তাকে তার বাড়িতে রাতযাপন করার সুযোগ দেন।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টায় আবার যাত্রা শুরু করেন গোপালপুরের উদ্দেশ্যে। দুপুর ১২টায় তিনি গোপালপুরের পাথালিয়া গ্রামে ২০১ গম্বুজ মসজিদে পৌঁছান।
বিকালে মোবাইল ফোনে রাসেল বিশ্বাস জানান, গোপালপুরে পৌঁছে তিনি ওই এলাকা ঘুরে দেখছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে রওনা হবেন।
রাসেল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে নতুন নতুন অনেক জায়গা দেখেছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই পথে কোনো ক্লান্তি বোধ হয়নি।
টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম জানান, সাইকেল চালানো একটি ভালো অভ্যাস। নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীর, স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকে। তাছাড়া সাইকেল একটি পরিবেশবান্ধব যান। রাসেল বিশ্বাসের এই সাইকেল চালানো দেখে অনেকেই সাইকেল চালাতে উদ্বুদ্ধ হবেন বলে তিনি মনে করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.