Beanibazarview24.com
তিন বাংলাদেশী যাত্রীকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় যাওয়ার প্রাক্কালে বোর্ডিং পাস না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে গত ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার। ঐদিন সকালে কাতার এয়ারওয়েজে ফ্লাইটে বার্ডি পাস নেওয়ার জন্য হাই কমিশন থেকে সত্যায়িত করা যাত্রীর ডিক্লারেশন ফরম গ্রহণ করেনি কাতার এয়ারওয়েজ। এর আগে অবশ্য এই ডিক্লারেশন ফরম দিয়েই করোনার সময়ে বাংলাদেশী নাগরিকরা লন্ডন থেকে দেশে গিয়েছেন।
লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে এই হেলথ ডিক্লারেশন ফরম সত্যায়িত করে দিচ্ছে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন। যেটি দিয়ে বাংলাদেশী নাগরিক কিংবা ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা ঢাকায় গিয়ে বিমানবন্দরে দেখাতে হবে এবং এর মাধ্যমেই যাত্রী কোয়ারেন্টাইন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতো।
সেই হেলথ ডিক্লারেশন ফরমে যাত্রী উল্লেখ করতে হয়, গত চার সপ্তাহে চীন, জাপান, সাউথ কোরিয়া, ইরান, ইতালি, হংকং, তাইওয়ানে ভ্রমণ করেননি এবং এই সময়ে কোন প্রকান ফ্লু কিংবা কোভিড নাইনটির এর উপসর্গ দেখা দেয়নি।
সেখানে আরো উল্লেখ করা থাকতো যে, যদি পূর্বে করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে নেগেটিভ এর মেডিকেল সনদ সংযুক্ত করতে হবে। কাতার সিভিল এভিয়েশন অথরিটি গত ২২ জুলাই করোনা মহামারীকালীন ভ্রমণ বিষয়ে চার পৃষ্ঠার একটি সার্কুলার জারি করেন, যেটি আগামী ১লা আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। এই সার্কূলারে ৪০টি দেশকে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে তালিকায় স্থান দিয়েছে। তবে কম ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা দেশগুলো থেকে আসার সময়ে কাতার বিমানবন্দরে পিসিআর টেস্ট করানো হবে এবং এক সম্পাহের সেলফ কোয়ারেন্টাইন এর জন্য যাত্রীকে লিখিত দিতে হবে।
কেন ফিরিয়ে দেওয়া হলো তিন বাংলাদেশী যাত্রীকে এই প্রশ্নের জবাবে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিন বলেন, আমরা কাতার এয়ারওয়েজের কাছে এর ব্যাখা জানতে চেয়েছি, তাদের কাছ তেকে বিস্তারিত জানার অপেক্ষা রয়েছি। বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে আমরা যেটা করেছি তা হলো বাংলাদেশি নাগরিক কিংবা ব্রিটিশ বাংলাদেশী দ্বৈত নাগরিক যাত্রীরা তাদের একটি স্বাস্থ্য ঘোষণাপত্র দিবেন, তা আমরা সত্যায়িত করেছি। এটি বাংলাদেশে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। এই ঘোষণাপত্র আমরা এখনো সত্যায়িত করে যাচ্চিছ। কাতার এয়ারওয়েজের পলিসিগত নতুন এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ কিংবা ব্রিটেনের কোন সম্পর্ক নেই।
এদিকে শুক্রবার রাত ৯ টায় যুক্তরাজ্য হাই কমিশনারের পক্ষে প্রেস মিনিস্টার আশিকুন নবী চৌধুরী ওয়ার্টসআপ গ্রুপের (ইউকে বাংলা মিডিয়া) মাধ্যমে জানিয়েছে যে, গত বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারওয়েজ হঠাত করে কী কারণে ব্রিটিশ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন যাত্রীকে বোর্ডিং পাস দেয়নি, বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন সে বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজের স্থানীয় অফিসের কাছে জানতে চেয়েছে। ইতিমধ্যে অন্যান্য এয়ারলাইন্স কোভিড সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সনদের জন্য নতুন কোন নীতিমালা গ্রহণ করেছি কি না সে বিষেয়েও হাই কমিশন তথ্য সংগ্রহ করছে। যথাসময়ে হাইকমিশনের ওয়েবসাইট ও ফেইসবুকের মাধ্যমে সেসব তথ্য সবাইকে জানানো হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন বিমান যাত্রীদের পরামর্শ দিচ্চেছ যে, যারা কাতারসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশে যেতে ইচ্চছুক তারা যেন টিকেট ক্রয়ের সময় নিজ দায়িত্বে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স থেকে যাবতীয় শর্তাবলী যথাযথভাবে জেনে নেন যাতে ভ্রমনের সময় তাদের কোন অসুবিধা পড়তে না হয়। এছাড়াও কিছু সংবাদ মাধ্যম লন্ডন হাই কমিশন হেলথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে বলে যে খবর প্রচার করেছে, তা সঠিক নয় বলে জানান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.