Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

নাস্তার উপকরণ বিক্রি করে ৩০০ কোটি টাকা আয়


এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম হয় পিসি মুস্তফার। তার বাবা একজন কুলি। ছোটবেলায় স্কুল থেকে ফেরার পথে বাবার সঙ্গে কুলির কাজ করতেন ছোট্ট মুস্তফা। স্কুলব্যাগের বদলে ঘাড়ে তুলে নিতেন ভারী কাঠের বাক্স। আবার সন্ধ্যায় ঘরে এসে পড়তে বসে ক্লান্ত মুস্তফা ঘুমিয়ে পড়তেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করে বসেন তিনি।

এমনও দিন গেছে যেদিন ছোট্ট মুস্তফার পেটে একবেলাও খাবার জুটতো। তাই অভুক্ত অবস্থাই অনেক রাত কাটাতে হয়েছে পুরো পরিবারকে। আজ সেই কুলির ছেলে ও ফেল ও মুস্তফা বছরের শত শত কোটি টাকা উপার্জন করেন।

বর্তমানে একটি খাবারের সংস্থার মালিক মুস্তাফা। জানলে অবাক হবেন, সকালের নাস্তার উপকরণ বিক্রি করেই কোটিপতি বনে গিয়েছেন মুস্তফা। তাকে সবাই ‘ব্রেকফাস্ট কিং’ নামেই চেনেন এখন। ভারতীয়দের প্রাতঃরাশ ইডলি, দোসা, রুটি-পরোটার উপকরণ বিক্রি করে তার সংস্থা। তার সংস্থার নাম ‘আইডি ফ্রেশ ফুড’।

কেরালার ওয়ানাদ জেলার চেন্নালোডের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠেন মুস্তফা। প্রথমদিকে নিজ এলাকায় দিনে ৫০ প্যাকেট খাবার বিক্রি করতেন। এখন প্রতিদিন পুরো ভারতে কয়েক হাজার প্যাকেট সরবরাহ করে মুস্তাফার ‘আইডি ফ্রেশ ফুড’ সংস্থা।

মুস্তফার বাবা কফির বাগানে কুলির কাজ করতেন। মা ছিলেন গৃহিণী। মুস্তাফা জানান, ‘কোনো বাবা-মা চান না তার সন্তান নিরক্ষর থাকুক। আমার বাবা-মা নিরুপায় ছিলেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা পর পড়়াশোনায় আরও মনোযোদ দেই। এর ৫বছর পর দশম শ্রেণি শেষ করে বোর্ড পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করি।’

এভাবেই মুস্তফা দ্বাদশের গণ্ডি পেরিয়ে এনআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান। চাকরি পান বহুজাতিক সংস্থাতেও। তবে নিজে কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তফা। যদিও ইউরোপ ও মধ্য প্রাচ্যের একাধিক সংস্থায় ততদিনে কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না।

২০০৫ সালে দেশে ফিরে মুস্তফা তার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে নিয়ে ৫৫০ বর্গফুটের একটি অফিস নেন। শুরুতে ৫০০০ কেজি চাল থেকে ১৫ হাজার কেজি ইডলির উপকরণ তৈরি করে মুস্তাফার সংস্থা। এখন তারা দেশের সব বড় শহরে নিয়মিত এর চার গুণ বেশি উপকরণ বিক্রি করেন।

১০ বছরের মধ্যেই মুস্তফার সংস্থার বছরে আয় হয় ১০০ কোটিরও বেশি। ‘আইডি ফ্রেশ ফুড’। ২০১৭-২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮২ কোটিতে। শেষ আর্থিক বছরে ২৯৪ কোটি টাকা আয় করেছে মুস্তাফার সংস্থা। যা আগের বছরের তুলনায় ২৩৮ কোটির থেকে ২৩.৫ শতাংশ বেশি।

তার উত্তরণের এই কাহিনী সবাইকে উৎসাহিত করে। ২ বছর আগে জাতীয় স্তরের একটি সংবাদ সংস্থা দেশের প্রথম ১০ ‘সেল্ফ মেড ম্যান’এর একটি তালিকায় জায়গা করে নেন মুস্তফা। তিনি নিজ সংস্থার মাধ্যমে বেকারদের কাজের সুযোগ করে দিচ্ছেন। প্রায় ৫০০ মানুষ এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এখন।
সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া/ইন্ডিয়া টাইমস

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.