Beanibazarview24.com
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ বুধবার জানিয়েছিলো, প্রতি মিনিটে তিরিশ জন লোক শরণার্থী হচ্ছেন। এমন ভ’য়াবহ তথ্যের পর এবার জানা গেলো, ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে নিহ’ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৬১ জন। নিহ’তদের মধ্যে রয়েছে অনেক নারী ও শিশু।
তাদের কেউ সাগরে নৌকা ডুবে, কেউ আটককেন্দ্রে, আবার কেউবা সহিংস ঘটনায় নিহ’ত হয়েছেন। কারো কারো পরিচয় মিললেও বেশিরভাগ হতভাগ্য লোকেরই পরিচয় মেলেনি। এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামভিত্তিক বেসরকারি সংগঠন ইউনাইটেড ফর ইন্টারকালচারাল অ্যাকশন একটি তালিকা তৈরি করেছে। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি মূলত ইউরোপের ৪৮টি দেশের ৫৬০টিরও বেশি সংগঠনের জোট।
গণমাধ্যমের রিপোর্ট, অভিবাসী নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের কোস্টগার্ড থেকে নেয়া তথ্যে একটি তালিকা তৈরি করেছে তারা।
তালিকাটি ফিরিয়ে নিয়ে যায় ১৯৯৩ সালে। যখন ২৪ বছরের কিমপুয়া সিম্বাকে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পাঁচদিন পর বন্দিশালায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। দীর্ঘ তালিকাটি শুধুমাত্র যাদের কথা গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় এসেছে তাদের নিয়ে তৈরি। তবে সংস্থাটির ধারণা এই তালিকায় বাইরে আরও বহু লোক রয়েছে। যাদের নাম বা তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি বা কেউ জানে না। সেই সব লোকদের যুক্ত করলে এই তালিকা আরও দীর্ঘ হবে।
ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুর এই তালিকায় রয়েছে বহু বাংলাদেশিও। তাদের কারও কারও পরিচয় জানা গেলেও বেশিরভাগেরই নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে কেউ সড়ক দু’র্ঘনটায়, কেউ সাগরে ডুবে, কেউ দা’লাল ও মা’নবপা’চারকারীদের অ’ত্যাচারে আবার কেউ আ’ত্মঘা’তী হয়ে মৃ’ত্যুব’রণ করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.