Beanibazarview24.com
অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু মাত্র ১৭ বছর বয়সে। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে ২০ বছরেরও বেশি। এই লম্বা সময়ে বাংলা সিনেমার জগতে নিজের আসনটাও বেশ পাকা করে নিয়েছেন।
১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজুর ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দিনে দিনে নিজেকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন ঢাকাই ছবির অন্যতম একজন অভিনেত্রী হিসেবে। তিনি চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা।
২০০৩ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় ‘মনের মাঝে তুমি’ তার অভিনীত অন্যতম সফল ছবি।
১১ জুলাই, নায়িকা পূর্ণিমার জন্মদিন। দেখতে দেখতে কাটিয়ে দিলেন জীবনের ৩৯ বসন্ত। এ বছর তিনি পা রাখলেন ৪০-এ।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ১৯৮১ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন পূর্ণিমা। সেখানেই কেটেছে তার শৈশবের দিনগুলো। এরপর চলে আসেন ঢাকায়। তারপর নাম লেখান সিনেমার খাতায়।
অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত ছবি উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি ছোট পর্দায়ও করেছেন চমৎকার কিছু কাজ। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ ছবির জন্য পূর্ণিমা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেছেন।
নায়ক রিয়াজের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন। জনপ্রিয়তাও পান এই নায়কের সাথে জুটি বেঁধে। ‘এ জীবন তোমার আমার’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘শাস্তি’, ‘খবরদার’, ‘শ্বশুর জামাই’, ‘টক ঝাল মিষ্টি’ ইত্যাদি ছবিগুলো জুটি হিসেবে রিয়াজ-পূর্ণিমাকে অনন্যতা দিয়েছে।
২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল কন্যাসন্তান জন্ম দেন এ অভিনেত্রী। তার মেয়ের নাম আরশিয়া উমাইজা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, জন্মদিন উপলক্ষে ভক্তদের শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.