Beanibazarview24.com
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘ’র্ষে দক্ষিণ সুরমা রণক্ষেত্র, গু’লি, আহ’ত ৫০
50 injured in South Surma battlefield clash of transport workers in Sylhet
সিলেটের কদমতলী বাস টার্মিনালে আরেকদফা সংঘ’র্ষে জড়িয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। বিকেলের সংঘ’র্ষের পর সন্ধ্যার দিকে ফের সং’ঘাতে জড়ায় দুইপক্ষ। দফায় দফায় সংথর্ষে বাস টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দ্বিতীয় দফা সংঘ’র্ষ থামাতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গু’লি ছুঁড়ে।
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে করোনা সং’ক্রমণের এই সময়ে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘা’তে জড়ায় শ্রমিকরা। শ্রমিকদের একটি পক্ষের দাবি, প্রথমদফা সংঘ’র্ষ থেমে যাওয়ার পর সন্ধ্যার দিকে এনা বাস কাউন্টার ভবনের ছাদ থেকে বিক্ষো’ভকারী শ্রমিকদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়া হয়, এসময় পুণরায় সংঘ’র্ষ বেঁধে যায়। সং’ঘ’র্ষ থামাতে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের লক্ষ্য করে পুলিশ ফাঁকা গু’লি ছুড়ে বলে অভিযোগ তাদের।
দুই দফা সং’ঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ৩০ জন আহ’ত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। পুলিশ, র্যাব ও পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট জেলা শাখার সভাপকি আবু সরকারের মধ্যস্থতায় দুপক্ষ সমঝোতায় রাজি হয়। দুই দিনের মধ্যে কল্যান তহবিলের টাকা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে রাস্তা ছাড়েন শ্রমিকরা।
জানা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সহ সভাপতি ও সিলেট সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকের বিরুদ্ধে কল্যান তহবিলের দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শ্রমিকদের একটি পক্ষ কদিন ধরেই বিক্ষো’ভ করে আসছিলো। মঙ্গলবার সকাল থেকে দক্ষিণ সুরমার বাবনা এলাকার শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে তারা আবার বিক্ষো’ভ শুরু করেন। বিকেলে বিক্ষো’ভকারীরা মিছিল নিয়ে কদমতলী বাস টার্মিনালের দিকে রওয়ানা দেন। মিছিল থেকে বাস টার্মিনাল এলাকায় এনা পরিবহনের কাউন্টারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ফলিকের অফিস লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন কয়েকজন। এরপর সংষর্ঘে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ।
বিক্ষো’ভকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, ফলিকের অফিস থেকে তার ছেলে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গু’লি ছুঁড়েন। এরপরই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকরা। এসময় এনা বাসের কাউন্টারসহ বেশকয়েকটি বাস ভাংচুর করে শ্রমিকরা।
সং’ঘ’র্ষের খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ, র্যাব ও পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা প্রথমদফায় সং’ঘর্ষ থামাতে সক্ষম হলেও সন্ধৌ্যার দিকে আবার সং’ঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ।
দুই দফা সংঘ’র্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহ’ত হয়েছেন। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
আন্দোলনকারী শ্রমিকদের একজন মিতালী শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলাদ আহমদ রিয়াদ বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় আড়াই কোটি টাকা থাকার কথা। কিন্তু সেলিম আহমদ ফলিক আমাদের হিসাব দিয়েছেন মাত্র ৪১ লাখ টাকার। বাকি ২ কোটি টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন। এই দাবি বিক্ষোব্দ শ্রমিক আজ মিছিল বের করলে তার কার্যালয় থেকে গু’লি ছোঁড়া হয়। এরপর সং’ঘর্ষ বাঁদলে আমাদের কয়েকজন শ্রমিক আহ’ত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুলল ফজল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে সং’ঘর্ষ থামিয়েছে। পরে তারা আবার সংঘ’র্ষে জড়িয়ে পড়ে।
দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের সহকারি কমিশনার (এসি) মো. ইসমাইল বলেন, সং’ঘর্ষ থামাতে পুলিশ কয়েকরাউন্ড ফাঁকা গু’লি ছুঁড়ে। তবে কত রাউ’ন্ড গু’লি ছুঁড়া হয়েছে তা এই মূহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সঘ’র্ষে পুলিশসহ ৮/১০ জন আহ’ত হয়েছেন।
তবে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার প্রায় ৩০ জন আহ’ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.