Beanibazarview24.com
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান দখলে নিয়েছে তালেবান। এদিকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গণি। আর এই সঙ্কটময় সময়ে আফগানিস্তানে শুরু হয়েছে ব্যাপক অস্থিরতা। দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছেন বহু মানুষ। কাবুল বিমানবন্দরের সোমবারের ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়। এদিনের একটি মার্কিন বিমানের (সি-১৭) ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়েও চলছে শোরগোল।
সোমবার মার্কিন নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে দেশটির বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমান নেমেছিল কাবুল বিমানবন্দরে। ধস্তাধস্তি, হই-হট্টোগোলের মধ্যেই যে যেভাবে পেরেছে, উঠে বসেছে। নানা লড়াই পেরিয়ে তাতে ৬৪০ আফগান চড়ে বসে। যা আদতে সেটার বহন ক্ষমতার থেকে কয়েকগুণ বেশি।
এমস খবরে ডেইলি মেইল শিরোনাম করেছে ‘দি লাকি ওয়ানস।’সোমবার দিনভর কাবুল বিমানবন্দরে আফগানদের হাহাকারের মধ্যে ওই শিরোনামকেই যুৎসই মনে করেছে সংবাদমাধ্যমটি। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, মার্কিন পরিবহন বিমানে বোঝাই হওয়া শত শত আতঙ্কগ্রস্ত আফগান উদ্বাস্তুর প্রথম ছবিগুলো আসতে শুরু করেছে। রাজধানী কাবুলসহ প্রায় পুরো আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে আসার প্রেক্ষাপটে এসব আফগান পালাতে চাচ্ছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই বিমানে খুব বেশি হলে ১৩৪-১৫০ জন মানুষের বসার জায়গা রয়েছে। মূলত সামরিক কাজেই ব্যবহৃত হয় এই বিমান। ১৫০ জন সৈন্য ও এক লাখ ৭১ হাজার পাউন্ড সমরাস্ত্র আনায়াসে পরিবহন করা যায়। কিন্তু তাতে চড়ে বসে কয়েকগুণ বেশি মানুষ।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কাবুল থেকে অন্তত দু’টি সি-১৭ পরিবহন বিমান উড়াতে পেরেছে। সোমবার রাত ও চলতি সপ্তাহের বাকি সময়ে আরও বিমান লোকজনকে পরিবহন করবে।
যদিও এই ব্যাপারে মার্কিন বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে একযোগে এয়ারলিফটের ক্ষেত্রে এটিই এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বাধিক বড় রেকর্ড!
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.