Beanibazarview24.com
ভারতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে গণধ.র্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কা.রাদ.ণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে সাতজনকে যা.বজ্জীবন কা.রাদ.ণ্ড দেওয়া হয়েছে। যা.বজ্জীবন সা.জা পাওয়াদের একজন বাংলাদেশি টিকটকার হৃদয় বাবু। যিনি গত বছর ভারতে এক নারীকে পা.চার করে ধ.র্ষণ ও নি.র্যাতনের একটি ভিডিওতে আলোচনায় আসেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবার এক রায়ে গণধ.র্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাদুল ইসলাম ওরফে হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক হৃদয়, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেনসহ ৭ জনকে যা.বজ্জীবন কা.রাদ.ণ্ড দেয় আদালত।
এ ছাড়া, ঘটনায় জ.ড়িত থাকার অপ.রাধে তানিকা খানকে ২০ বছর এবং মোহাম্মদ জামাল নামে দুজনকে ৫ বছরের কা.রাদ.ণ্ড দেওয়া হয়। আরও দুই নারী আসামিকে ৯ মাস করে লঘু কা.রাদ.ণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ মামলায় এক ভারতীয় অভিযুক্ত থাকলেও তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
গত বছরের ১৮ মে ২২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণী বেঙ্গালুরুতে নি.র্যাতন ও দলব.দ্ধ ধ.র্ষণের শি.কার হন। সামাজিক মাধ্যমে ঘটনাটির একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ভারতজুড়ে এ ন্যা.ক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। এরপর ১২ জনকে অ.ভিযুক্ত করে স্থানীয় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বেঙ্গালুরু পুলিশ। তাঁদের সবাই বাংলাদেশ থেকে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে অবৈ.ধভাবে বাস করছিলেন।
সেসময় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, কেরালা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ঘটনায় হৃদয়সহ পাঁচজনকে আ.টকের বিষয়ে জানতে পেরেছেন তারা। আটকদের একজন হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক বাবু। তিনি ঢাকার মগবাজারের বাসিন্দা। নি.র্যাতনের শি.কার মেয়েটিও ওই এলাকার বাসিন্দা। ওই ঘটনায় মেয়েটির বাবা মা.নবপা.চার ও প.র্নোগ্রা.ফি আইনে হৃদয় বাবুসহ পাঁচজনকে আ.সামি করে হাতিরঝিল থানায় একটি মা.মলা দায়ের করেছিলেন।
এদিকে ব্যাপক অনু.সন্ধানের পর নি.র্যাতনের ওই ঘটনাস্থল খুঁজে বের করে ভারতের পুলিশ। তারা জানায় বেঙ্গালুরুর কনাকা নগরে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ ১২ জনকে আ.টক করে পুলিশ। পরে মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বি.রুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।
এ মা.মলার ত.দন্তকারী কর্মকর্তা ডিসিপি (অপরাধ) এসডি শরনাপ্পা সংবাদ সম্মেলনে জানান, ধ.র্ষণের শি.কার ত.রুণীও বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি অবৈ.ধভাবে ভারতের কেরালায় বসবাস করতেন। শুরুতে এ ঘটনার বিচার কার্যক্রম নিয়ে তিনি কিছুটা সং.শয়ে ছিলেন। তারপর পুলিশের পক্ষ থেকে ন্যায়বিচারের আ.শ্বাস পাওয়ার পরই তিনি মা.মলা করেন। আলোচিত এ মামলাটি ১০০ দিনের বিচারিক কার্যক্রমের মধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.