Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে অসংখ্য তরুণীকে দিনের পর দিন ধ র্ষণকারী ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার!







লাকসামে ধর্ষণের অভিযোগে ডা. মীর হোসেন নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র‌্যাব। ওই ভুয়া ডাক্তার লাকসাম শহরের জংশন এলাকায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক। চাকুরি দেয়ার নামে ওই চেম্বারে অসংখ্য মহিলাকে তিনি ধর্ষণ করেছেন। বুধবার কুমিল্লা র‌্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, কনডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্যসহ তাকে আটক করে। তিনি পৌর শহরের বাইনচাটিয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।



সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা র‌্যাব ১১-এ এক জোসনা (ছদ্মনাম) নামে নারী লিখিত অভিযোগ দেন। ওই নারী বলেন, শহরের জংশন এলাকায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ারে কর্মরত চার মাস যাবত হেলথ সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলাম। ওই হেলথ কেয়ারের মালিক ডা. মীর হোসেন চাকুরীর শুরু থেকেই আমাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু আমি চাকুরি রক্ষা ও জীবিকা নির্বাহের স্বার্থে সবকিছু সহ্য করে আসছিলাম।



এক পর্যায়ে ডা. মীর হোসেন আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গত চার মাসে সে আমাকে ৩০ বারের অধিক ধর্ষক করে। প্রতিবার ধর্ষণ করার পর সে আমার শরীরে ব্যথা নাশক অজ্ঞান করার একটি ইনজেকশান পুশ করতো। ধর্ষণের পর মীর হোসেন আমাকে হুমকী ধমকি দিয়ে বলেে একথা যদি কেউ জানতে পারে তাহলে আমাকে চাকুরিচ্যুত করে মিথ্যা মামলা দিবে বলে ভয় দেখায়। আমি দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম হওয়ায় তার এ নির্যাতন সহ্য করে আসছিলাম। কিন্তু দিন দিন তার অত্যাচার নির্যাতন বেড়ে চলায় নিরুপায় হয়ে গত সোমবার কুমিল্লা র‌্যাব-১১ তে লিখিত অভিযোগ করি।



স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ডা. মীর হোসেন একইভাবে তার চেম্বারে বহু তরুণীকে চাকুরি দেয়ার নাম করে সর্বনাশ করেছে। তার হুমকী ধমকীর কারণে কেউ মুখ খোলার সাহস করেনি। এছাড়া ভুয়া ডা. মীর হোসেনকে বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। কিছুদিন পর আবার সে কৌশলে আবার চেম্বার খুলে তার পুরোনো অপকর্ম শুরু করে।



কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কোম্পানী কমান্ডার প্রণব কুমার জানান, ওই নারীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা লাকসাম ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক ডা. মীর হোসেনের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, বিপুল পরিমাণ কনডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায়। তিনি কোন ডাক্তার নন। তিনি চাকুরি দেয়ার নামে এই চেম্বারে অসংখ্য মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। তাকে ও তার চেম্বারে কর্মরত অপর এক মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সূত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর











You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.