Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

২২ লাখ টাকা দামের ‘ভাগ্যরাজ’ এবছরের দেশের সবচেয়ে বড় গরু







২২ লাখ টাকা দামের – “ভাগ্যরাজ” কোনো ব্যক্তি নয়। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের খাইরুল ইসলাম খান্নু’র পালিত একটি ষাঁড়। এ বছর দেশের সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বলেই ধরা হচ্ছে এই ষাঁড়টিকে। আদর করে ‘ভাগ্যরাজ’ নাম দিয়েছেন খামারির মেয়ে ইতি আক্তার।

ইতি আক্তার জানায়, সাড়ে ৮ ফুট লম্বা, ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতা, বুকের পরিধি ১১৭ ইঞ্চি আর ওজন ২ হাজার ৭৪ কেজি! নাম তার ‘ভাগ্যরাজ’! বেশ জামাই আদরেই রাখা হয়েছে ২ বছর ৮ মাস বয়সী ‘ভাগ্যরাজ’কে।



জানা গেছে, বৃহদাকার এই ষাঁড়ের জন্য খামারির প্রতিদিনের বাজেট প্রায় ২ হাজার টাকা। খাবারের মেন্যুতে থাকে কলা, মাল্টা, কমলালেবু, চিড়া, আঙুর ফল, আখের গুড়, ইসাব গুল, খৈল ও বেলের শরবতসহ আরও অন্যান্য দামী ও পুষ্টিকর খাবার।

শুধু আদর যত্নেই নয় ‘ভাগ্যরাজ’র স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য রাখা হয়েছে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক। নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে পুলিশ টহল দেয় বাড়ির চারপাশের রাস্তায়।

এতো উন্নত আড়ম্বরপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠা যার, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সেই ‘ভাগ্যরাজ’র মালিক তার দাম হাঁকচ্ছেন ২২ লাখ টাকা। ‘ভাগ্যরাজ’র আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে দেশের সবচাইতে বড় গরু বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।



‘ভাগ্যরাজ’কে দেখতে প্রতিদিন ওই খামারির বাড়িতে ভিড় করেন ঢাকা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, যশোর, মানিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। আবার কেউ কেউ সেলফি তুলতেও ভুল করেন না।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘ভাগ্যরাজ’কে দেখতে দেলুয়া গ্রামের খায়রুল ইসলাম খান্নুর বাড়ি গেলে আমি জানতে পারি এটির বর্তমান বয়স ২ বছর ৮ মাস। ৪ দাঁতের ‘ভাগ্যরাজ’ গরুটিই আমার জানা মতে বর্তমানে দেশে আকার ও ওজনে সবচেয়ে বড় গরু।



খামারি খাইরুল ইসলাম খান্নু’র সাথে আলাপকালে জানা যায়, গত বছর কোরবানির ঈদের পর সাটুরিয়া উপজেলার কামতা এলাকার কৃষক মজিবর রহমানের থেকে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি ক্রয় করেছিলেন ২৫ মণ ওজনের এই হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি।

এক বছর লালন-পালনের পর এই সময় গরুটির বর্তমান ওজন হয়েছে ৫১ মণ। এবার তিনি ‘ভাগ্যরাজ’র দাম হাঁকচ্ছেন ২২ লাখ টাকা।



খামারী খাইরুল ইসলাম খান্নুর স্ত্রী পরিস্কার বিবি জানালেন, বিশাল আকারের এই গরুটির পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। দিনে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ বার গোসল করাতে হয়। সারাদিন বৈদ্যুতিক পাখা চালাতে হয়। বিদ্যুতের প্রবাহ বন্ধ থাকলে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। সারাদিনই প্রায় এই গরুটির যত্ন করতে হয়। এক ‘ভাগ্যরাজ’র আত্তিযত্ন করতে করতে খামারে বাকি ১১টি গরুর যত্ন নেয়ার ফুরসতই পাওয়া যায় না। বাড়ি থেকেই যেন ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারেন ‘ভাগ্যরাজ’কে সেই ব্যবস্থা করতে সরকারি সহায়তাও প্রার্থনা করেছেন তিনি।



খামারির মেয়ে ইতি আক্তার গত বছর এসএসসি পাস করেছেন। তিনি জানান, ২০১৭ সালে সাভার শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে গবাদি-পশু, হাস-মুরগী পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা, মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ক ৩-মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর তিনিই এখন খামারের গরুর সার্বিক দেখাশোনা করেন। এছাড়া স্থানীয় চাচিতারা বাজারে বসে গবাদি পশুর বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেনও তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছর ‘রাজা বাবু’ নামের একটি গরু সুনামগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর কাছে সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেন ওই খান্নু পরিবার।











You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.