Beanibazarview24.com
বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারকে অবশিষ্ট ক্ষতিপূরণের বাকী ৪৫ টাকার প্রথম কিস্তি ৫ লাখ টাকা দেয়নি গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
গত ২৫ জুন গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে কিস্তিতে এ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এদিকে আদালতের আদেশ না মানায় গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের হয়ে আর মামলায় লড়বেন না বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী অজি উল্লা।
আদালতে তিনি আজ মঙ্গলবার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে অব্যাহতির আবেদন দিয়েছেন। প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে কিস্তি পরিশোধ করে ১৫ তারিখে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে বলে আদালত আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য রেখেছিল।
রাসেলকে ক্ষতিপূরণ পরিশোধের প্রতিবেদন না পেয়ে এদিন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ২১ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছে।
আদালতে গ্রিনলাইন পরিবহনের আইনজীবী অজি উল্লা, বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর পক্ষে রাফিউল ইসলাম রাফি, রিট আবেদনের পক্ষে খোন্দকার শামসুল হক রেজা ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার শুনানি করেন।
মঙ্গলবার আদেশের পর রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী খোন্দকার শামসুল হক রেজা বলেন, মাসে পাঁচ লাখ টাকা করে রাসেলকে দিতে হাইকোর্টের আদেশ পালন করেনি গ্রিন লাইন। তারা সর্বশেষ আদেশের পর কোনো টাকা দেয়নি। এমনকি কোনো যোগাযোগেও করেনি।
গত বছরের ২৮ এপ্রিল যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয় প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারকে। তাকে বাঁচাতে একটি পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা।
রাসেলের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে সাবেক সাংসদ উম্মে কুলসুমের করা এক রিট আবেদনে চিকিৎসা খরচ বাদেও ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রিনলাইনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগেও ওই আদেশ বহাল থাকে।
এরপর গত ১০ এপ্রিল রাসেল সরকারকে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করে গ্রিনলাইন, বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য এক মাস সময় পায়।
ওই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনো অর্থ তারা পরিশোধ না করায় গত ১৫ মে আদালত আরও সাতদিন সময় দিয়ে পুরো অর্থ পরিশোধের বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। এরপরও গ্রিনলাইন পরিবহন পা হারানো রাসেলকে কোনো টাকা না দেওয়ায় সর্বশেষ গত ২৫ জুন ক্ষতিপূরণের টাকা কিস্তিতে পরিশোধের আদেশ দেয় আদালত।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.