Beanibazarview24.com
বাড্ডায় ছেলে ধ’রা গুজবে গণপি’টুনিতে তাছলিমা বেগম রেনু হ’ত্যার ঘটনায় আরো একজনকে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ। তার নাম বাচ্চু (২৫)। এ নিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হলো। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন গণপি’টুনিতে নেতৃত্বদানকারী যুবক।
সোমবার সকালে গ্রেফতার বাচ্চুসহ চারজনকে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বাপ্পী, শাহীন ও জাফরকে।
বাড্ডা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই চারজনের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তবে গণপি’টুনির ঘটনার নেতৃত্বদানকারী হৃদয় নামে যুবককে এখনো আটক করা যায়নি।
ওসি জানান, হৃদয় উত্তর বাড্ডায় তার বাবা হানিফ আলীর সবজির দোকানে কাজ করেন। পড়াশুনাও করেননি তিনি। এলাকায় আগে থেকে বখে যাওয়া যুবক হিসাবে পরিচিত হৃদয়।
গণপি’টুনির ভিডিওতে দেখা যায়, বাড্ডার অল্প কয়েকজন যুবকই তাছলিমাকে মা’রছে। বাকিরা দেখছে। আবার কেউ কেউ মোবাইলে ভিডিও করছে। লা’ঠিপে’টার পর উপর্যুপরি লা’থি দেওয়া হয়। তাসলিমা নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকলেও তাকে কাঠের দণ্ড দিয়ে পে’টাতে থাকে ছবির যুবকটি। তার হা-পা, বুকের উপর পে’টানো হয়। হাতে খোঁচানো হয়।
গত শনিবার সকালে রাজধানীর বাড্ডায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হ’ত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫শ জনকে আসামি করা হয়।
নি’হতের স্বজনরা জানিয়েছেন, লেখাপড়া শেষ করে তাছলিমা বেগম রেনু চাকরি করেছিলেন আড়ং, ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে, পড়িয়েছিলেন স্কুলেও। বিবাহ বিচ্ছেদের পর ঘরেই কাটাচ্ছিলেন সময়। ঘটনার দিন স্কুলে সন্তানদের ভর্তির খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রানু। সেখানে তাকে ছেলে ধ’রা গুজবে গণপি’টুনি দেওয়া হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.