Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ডেঙ্গু জ্বরে সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ডা. তানিয়ার মৃ’ত্যু







সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৪৭ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. তানিয়া সুলতানা আর নেই। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গিয়েছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেলের আইসিউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।



বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ডা. তানিয়ার সহপাঠী ও গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. নাজিরুম মুবিন।

তিনি জানান, ডা. তানিয়া সুলতানা শিশুরোগ বিষয়ে এফসিপিএস পার্ট-১ পাস করেছিলেন। তিন বছরের এক শিশু সন্তানের জননী ডা. তানিয়া সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজে ট্রেনিং করছিলেন।

তাঁর মৃ’ত্যুতে মেডিভয়েস পরিবার শোকাহত। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।



চিকিৎসক সমাজে শোকের ছায়া
তাঁর মৃ’ত্যুতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসক সমাজে এখন বইছে শোকের ছায়া।

বিএসএমএমইউর সাবেক ভাসকুলার সার্জন ডা. সাকলায়েন রাসেল একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে তার (ডা. তানিয়ার) তিন বছরের শিশু সন্তান ও ডা. তানিয়ার স্বামী আমিনুল বাহার হিমন রয়েছে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, ‘শিশুটির দিকে তাকাতে পারছি না…
ডা. তানিয়া ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে উইথ মাল্টি অর্গান ফেইল্যরে আক্তান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। আমিন।’



ডা. তানিয়ার সহপাঠী ও গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. নাজিরুম মুবিন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, হাসিখুশি শান্ত মেয়ে ছিল তানিয়া। ৩ বছরের ছোট্ট ছেলের মা ছিল সে। পেডিয়াট্রিক্সে এফসিপিএস করছিল।

এমন আকস্মিক মৃ’ত্যু মেনে নেওয়া খুব কষ্টের। ছোট্ট একটা মশার সামান্য একটা কামড়ের কাছে আমরা খুব অসহায়।



ডা. নাজিরুম মুবিন তার ব্যাচের আরও দুইজন চিকিৎসকের অকাল মৃ’ত্যুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০০৯ সালে আমরা ১৮০জন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসে ভর্তি হয়েছিলাম। ২০০৯-এ শিবলি চলে গেলো, হার্ট অ্যাটাকে। ২০১২ সালে মঈন চলে গেলো রোড অ্যাকসিডেন্টে। ওইদিন দুপুরেও মঈনের সাথে দেখা হয়েছিল, কথা হয়েছিল। আর আজ (২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে) তানিয়া সুলতানা চলে গেলো ডেঙ্গুতে।



উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাঈদ হাসান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, চার দিনের জ্বর নিয়ে অবশেষে আইসিইউতে যুদ্ধ শেষে তিন বছরের ছোট্ট বাচ্চাকে রেখে চলে গেলেন ডা. তানিয়া সুলতানা। এত অসহায় আমরা বোধহয় আগে কখনো হইনি। ২০১৯ বাংলাদেশের জন্য একটি অভিশপ্ত বছর।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.