Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ভারতীয়দের কুয়েত যেতে টাকা লাগে এক লাখে, বাংলাদেশিদের লাগে ৮ লাখ







যে ভিসায় ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা মাত্র ১ লাখ টাকায় কুয়েত যান। সেই ভিসায় বাংলাদেশিরা দেশটিতে যান ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভিসার ধরন না বুঝে দালালদের খপ্পরে পড়ে বাংলাদেশিরা এ টাকা গুণেন। আর বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো তাদের এজেন্সির মাধ্যমে কুয়েতে যান। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া ভিসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় কুয়েতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন বাংলাদেশিরা



সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগ পাওয়ার কারণে বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। ফলে সরকারিভাবে কুয়েতে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ রয়েছে। তবুও গত ৪ থেকে ৫ বছরে লামানার (বিশেষ অনুমতি) মাধ্যমে কুয়েতে প্রায় অর্ধলক্ষাধিকেরও বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন ভিসায় কুয়েতে গিয়েছেন।

শুধু বর্তমানে কুয়েতে সরকারিভাবে আকদ হুকুমা নামে (১৮ নম্বর ) ভিসা চালু রয়েছে। এই ভিসা কুয়েত সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এ ভিসায় কাজ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার। বেতন কুয়েতি ৬০ দিনার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৭ হাজার)।



এ ভিসায় গেলে মসজিদ, মাদরাসা ও কুয়েতের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ হয়ে থাকে। যাওয়ার দুই বছর পর যে কোম্পানির মাধ্যমে যাওয়া হয় সেই কোম্পানির লোকদের টাকা দিয়ে অন্য সাইটে যাওয়া যায়। অথবা এ ধরনের ভিসায় একই ধরনের অন্য কোম্পানিতে যাওয়া যায়। বেতন-সুযোগ সুবিধা একই।

ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপালি নাগরিকরা শুধু ১ লাখ টাকা খরচ করে ২ বছর মেয়াদি এ ভিসায় কুয়েতে যাচ্ছেন। আর কোম্পানির কিছু কর্মকর্তা ও ভিসার দালালরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের কাছে এই ভিসা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা বলে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করছে।



জানা গেছে, দালালরা বাংলাদেশিদের পার্টটাইম জবের কথা বলে বেতনের চেয়ে ভালো আয় করার সুযোগ ও সময় থাকে, এমন লোভ দেখায়। এই ভিসায় আসার পর কেউ যদি অন্য কোথাও পার্টটাইম করতে গিয়ে ধরা পড়ে, তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছে ১৮ নম্বর শোন ভিসার কথাও বলে দালালরা প্রতিটি ভিসা বিক্রি করছে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায়। আবার এসব ভিসাকে ফ্রি ভিসা বলেও ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। যদিও ফ্রি ভিসা বলে কোনো ভিসা নেই।



কুয়েতের লয় ফার্মের কেইস ম্যানেজার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কুয়েতে সরকারিভাবে আকদ হুকুমা চালু আছে, যা কুয়েত সরকার বিভিন্ন কোম্পানিকে দিয়েছে। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা তাদের দেশের এজেন্সির মাধ্যমে এ ভিসায় ১ লাখ টাকা খরচ করে কুয়েতে আসছেন। বাংলাদেশিরা ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায় আসছেন। একই কাজে, একই বেতন, একই সুযোগ-সুবিধা। কিন্তু বাংলাদেশিরা লালালদের খপ্পরে পড়ে বেশি টাকা দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার চেষ্টা করলে এজেন্সরি মাধ্যমে কুয়েত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষকর্মী পাঠাতে পারে, কম খরচে।



মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, উচ্চমূল্যে দালালদের কথায় ১৮ নম্বর ভিসার ধরণ সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে দেশ থেকে গত কয়েক বছরে আসা নতুন শ্রমিকরা নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। যেকোনো দেশে যাওয়ার আগে ভিসার সর্ম্পকে ওই দেশে থাকা পরিচিত কেউ অথবা অবিজ্ঞ লোকদের কাছ থেকে জেনে নিলে এমন সমস্যা সম্মুখীন পড়তে হতো না।

কুয়েতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা
ফ্যামেলি ভিসা (২২ নম্বর)। এই ভিসায় গিয়ে কোথাও কাজের জন্য আবেদন বা কাজ করা যায় না। টুরিস্ট ভিসা (১৪ নম্বর)। এই ভিসায় কাজ করার অনুমোতি নেই।




মাছনা ভিসা (১৮ নম্বর), মাছুরা সাগিড়া (১৮ নম্বর) হলো ছোট কোম্পানিতে কাজ করার ভিসা। বড় কোম্পানি বা অন্য কোনো ধরনের কোম্পানিতে এ ভিসায় কাজ করা যায় না।

খাদেম ভিসা (২০ নম্বর) রিলিজ দিলে এক কুয়েতির ঘর থেকে অন্য কুয়েতির ঘরে ভিসা লাগাতে হয়। অন্য কোথায়ও ভিসা পরিবর্তন করা যায় না।

মাজরা রায় শোন (১৮ নম্বর) ভিসা। এ ভিসায় খামার অথবা বাগানের নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে কাজ করা যায় না। এটি অবৈধ ভিসা। এ ভিসায় গিয়ে চেকে পড়লে যেকোনো সময় গ্রেফতার করতে পারে স্থানীয় প্রশাসন।

আহলি (১৮ নম্বর) শোন ভিসা। এ ভিসায় গেলে কোম্পানির চুক্তির নির্দিষ্ট সয়ম শেষ হওয়ার পর অন্য যেকোনো কেম্পানিতে ভিসার লাগানো যায়।










You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.