Beanibazarview24.com
“হুজুরের কথা শোনা ফরজ, না শুনলে গুনাহ হবে। হুজুরের কথা না শুনলে জাহান্নামে যেতে হবে” এমন আরও নানা ধরণের ফতোয়া দিয়ে গত তিন বছরে ১১ মাদরাসা ছাত্রীকে ধ’র্ষণের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভূঁইগড় এলাকায় দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক ‘বড় হুজুর’ মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজন ছাত্রীকে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন হ’য়রানির অভিযোগে গতকাল শনিবার (২৭ জুলাই) র্যাব তাকে গ্রে’ফতার করে।
তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে নির্যাতিত ছাত্রীদের পক্ষ থেকে একজনের অভিভাবক বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন র্যাব-১১ সিও কাজী শামসের উদ্দিন।
আটককৃত মোস্তাফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। গত ছয় বছর যাবত তিনি মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন এবং পরিবার নিয়ে সেখানেই বসবাস করছেন।
র্যাবের সিও আরো জানান, প্রাথমিকভাবে চারজনকে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন হ’য়রানির অভিযোগে তাকে গ্রে’ফতার করা হলেও পরবর্তীতে এগারোজনকে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন হ’য়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নিজের মনগড়া মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে, তাবিজ দিয়ে পা’গল করা ও পরিবারের ক্ষ’তি করার ভ’য়ভীতি দেখিয়ে আট থেকে পনেরো বছর বয়সী এগারো ছাত্রীকে তার ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন নি’র্যাতন করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন বলে র্যাব জানিয়েছে। নিজের নিকট আত্মীয় এক শিশু ছাত্রীকেও সে এসব কৌশল অবলম্বন করে ও ভ’য়ভীতি দেখিয়ে ধ’র্ষণ করেছে।
র্যাবের সিও আরও জানান, মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান একটি ভূঁয়া হাদিস শুনিয়ে এবং সে হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ছাত্রীদের বোঝাতেন যে অভিভাবক ও সাক্ষী ছাড়াও বিয়ে হয়। এভাবে সে কয়েকজনকে বিয়ে করেছেন এবং স’হবাস শেষে তিনি নিজেই আরেকটি ফতোয়া জারি করতেন। ‘তা’লাক’ হয়ে গেছে এমন ফতোয়া জানিয়ে কোনো একটি অপবাদ দিয়ে ওই ছাত্রীকে মাদরাসা থেকে বের করে দিতেন।
এ ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযোগের কথা তিনি স্বীকারও করেছেন। গ্রে’ফতারের পর মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.