Beanibazarview24.com
আজ সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃ’ত্যু হয়। মৃ’ত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিনু মিয়ার প্রতিবেশী টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিয়ান বিন অনিক।
দীর্ঘ আটদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মৃ’ত্যুর কাছে হার মানলেন টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নি’র্মমভাবে গণপি’টুনির শিকার ভ্যানচালক মিয়া মিয়া (৩০)।
নিহত মিনু মিয়া ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ি গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে। জম্মের কিছুদিন পরেই মা হারা হয় সে। এরপর থেকে স্থানীয়দের কাছেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। বড় হয়ে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে চালাতেন ছোট সংসার। পরিবারে তার প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি ছেলে ও ছয়মাসের গর্ভবতী স্ত্রী রয়েছে।
জানা যায়, ভূঞাপুর-তারাকান্দি বাঁধ ভেঙে আকস্মিক বন্যার পানি বাড়িতে প্রবেশ করায় হতদরিদ্র অটো-ভ্যান চালক মিনু মিয়ার রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে গত ২১ জুলাই পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার সয়া হাটে মাছ ধরার জন্য জাল কিনতে গিয়েছিলেন তিনি।
হঠাৎ ছেলেধ’রা সন্দেহে তার উপর উত্তেজিত হয়ে বেধড়ক পি’টুনি দেয় উপস্থিত জনতা। পরে পুলিশ এসে মিনু মিয়াকে উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সেখানে মিনুর অবস্থা অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু মাথায় আঘাত গুরুত্বর হওয়ায় রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
নি’হতের পাশে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, ২২ জুলাই গণপি’টুনির শিকার দরিদ্র মিনু মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থা ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। দীর্ঘ আটদিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে অনেকে সাহায্যের প্রতিশ্রতি দিলেও বাস্তবে কেউ এগিয়ে আসেনি।
সিজার তালুকদার বলেন, আজ সকালে আমি হাসপাতালে গিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে আইসিইউতে একটি সিট ও কিডনী বিভাগে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক যে মিনু চিকিৎসা গ্রহণের আগেই মা’রা গেল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.