Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

হজ পালন করতে নয়, পকেট মারতেই সৌদি আরব যায় ওরা!







দেশে তাদের পেশা চুরি আর ছিনতাই। তবে হজের মৌসুম এলেই দুই মাসের জন্য সৌদি আরবে পাড়ি জমায় তারা। তবে উদ্দেশ্য হজ পালন নয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হাজীদের ডলার, পাউন্ড হাতিয়ে নেওয়াই হল তাদের মূল লক্ষ্য।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে এমন একটি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই মিলেছে এসব তথ্য।



সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মহরম আলী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রুহুল কুদ্দুস (৪৮), মাসুদুল হক ওরফে আপেল (৪২), লাবু মিয়া (৩২), সুমন ভূঁইয়া ওরফ সুমা (৩৬), জাহিদুল ইসলাম (২৮) ও দুলাল মোল্লা (৫০)।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের পলাতক ৬ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো- সজিব (৩০), ওমর (৩২), শহিদুল্লাহ (৩০), তাজু (৩৫), তুলু (৩৬) ও জামাল। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে ডিবি।



উপ-কমিশনার মহরম আলী জানান, চক্রটি রাজধানীতে বিশেষ করে বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের টার্গেট করে চুরি, ছিনতাই ও পকেট মারতো। দেশে ১০ মাস চুরি-ছিনতাই করলেও হজের সময় এলেই আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ করে সৌদি চলে যায়।

২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই তারা দুই মাসের জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ বছরও তারা সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। দলটির মূল হোতা আপেলের নেতৃত্বে ১২ জনের সংঘবদ্ধ চক্রের প্রত্যেক সদস্যের পাসপোর্ট রয়েছে। হজে গিয়ে হাজীদের পকেট কেটে প্রত্যেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে দেশে ফিরে আসে।



তিনি আরও জানান, এর আগে ২০০৮ সালে ২৪ লাখ টাকা সমমূল্যের বিদেশি মুদ্রাসহ সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় চক্রের মূলহোতা মাসুদুল হক ওরফে আপেল। তিন মাস জেল খেটে বের হয়ে দেশে ফিরে সে তৈরি করে নতুন পাসপোর্ট। হজের সময় এলেই আবার সৌদি চলে যায় সংঘবদ্ধ চক্রের এই সদস্যরা।



ডিবি কর্মকতারা জানান, শনিবার বিমানন্দর থানার গোল চত্বর এলাকার ফুটওভার ব্রিজ এলাকা থেকে চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি। এসময় তাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিকভাবে তৈরি পিতলের বাট দ্বারা আটকানো একটি ব্লেড, ২ পাতা (২০টি) ঘুমের ট্যাবলেট, সাত পুরিয়া নেশা জাতীয় ঘুমের ওষুধের গুঁড়া, তিন পিস খুরমা খেজুর, দু’টি নীল রঙের মলমের কৌটা উদ্ধার করা হয়।
– সময়ের কণ্ঠস্বর














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.