Beanibazarview24.com
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বুধবার জানিয়েছেন, বাজারে থাকা দুধের নমুনা ভারতের চেন্নাইতে এসজিএস’র ল্যাবে পরীক্ষা করে নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে।
সচিবালয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) পুষ্টি ইউনিট কর্তৃক দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিশ্লেষণ করে পাওয়া ফল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, ইগলু, আরডি, সাভার ডেইরি, প্রাণ ও খোলা বাজারের দুধের মোট ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাতে কোনো সমস্যা নেই। এসব দুধ নিরাপদ এবং তা খাওয়া যাবে। বাকি কোম্পানির দুধও বিদেশে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, দুধ পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশে যে কয়েকটি পরীক্ষাগার আছে তার বেশির ভাগেই ভারী ধাতু, ডিটারজেন্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষা করার সক্ষমতা নেই। ‘তাই আমরা চেন্নাইয়ের এসজিএস থেকে পরীক্ষা করে নিয়ে এসেছি। এ পরীক্ষার ফল শুক্রবার হাতে পেয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিএআরসির পরিচালক (পুষ্টি) ড. মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, ১৬টি নমুনার মধ্যে দুটি কোম্পানির দুধে একটু সমস্যা পাওয়া গেছে। মিল্ক ভিটায় প্রতি কেজিতে ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে স্ট্রেপটোমেসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তা মানবদেহের জন্য নির্ধারিত মাত্রার অনেক নিচে। সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা প্রতি কেজিতে ২০০ মাইক্রোগ্রাম।
অন্যদিকে, প্রাণের দুধের নমুনায় প্রতি কেজিতে ০.৬ মাইক্রোগ্রাম ক্লোরামফেনিকলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। দুধের ক্ষেত্রে ক্লোরামফেনিকলের মাত্রা নির্দিষ্ট করা নেই। তবে কারও কারও মতে ০.১ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য।
মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত দুধে কোনো প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। দুধ খেয়ে কারও মারা যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
তিনি জানান, দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিশ্লেষণ করতে পুষ্টি ইউনিট উদ্যোগ নেয়। এ জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধসহ কাঁচা তরল দুধ সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান এসজিএস (চেন্নাই) থেকে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলে পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে কোনো প্রকার সালফা ড্রাগ পাওয়া যায়নি।
সূত্রঃ ইউএনবি
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.