Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ভালোবেসে বিয়ে : স্ত্রীকে অপহ’রণ ও ধ’র্ষণের অভিযোগে ১৪ বছরের দ’ণ্ডপ্রাপ্ত সেই তুষার জামিন পেল







স্ত্রীকে অপহ’রণের অভিযোগে অবশেষে ১৪ বছরের দ’ণ্ডপ্রাপ্ত সেই তুষার দাস ওরফে রাজকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দণ্ডের বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মো. মনির।



এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীয়তপুরের সুস্মিতা ও তুষার ভালবেসে বিয়ে করেন প্রায় দুই বছর আগে। এরই মধ্যে তাদের কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। কিন্তু এখনও এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি সুস্মিতার বাবা-মা। মেয়ে নাবালিকা এ অভিযোগে তার মা অপ’হরণ ও ধ’র্ষণের মা’মলা করেন। এ মা’মলায় অপহ’রণের দায়ে তুষারকে গত ২৩ জুলাই ১৪ বছরের সশ্রম কা’রাদ’ণ্ড দেন শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ আ. ছালাম খান। কিন্তু ধ’র্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তুষারকে খালাস দেওয়া হয়।



রায়ে বলা হয়, আসামি তুষার দাস ওরফে রাজ ভিকটিম সুস্মিতা ওরফে অদিতিকে অপ’হরণ করে নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আসামি শিশু সুস্মিতাকে বিয়ে করবেন এ আশ্বাস দিয়ে অপ’হরণ করেছেন। যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় শা’স্তিযোগ্য অ’পরাধ। এ কারণে তাকে দো’ষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছরের সশ্রম কা’রাদ’ণ্ড দেওয়া হলো।



বিচারক রায়ে বলেন, আ’সামি তুষার ভি’কটিমকে ধ’র্ষণ করেছে মর্মে চাক্ষুস স্বাক্ষী নেই। ভিকটিমের সঙ্গে আসামির দৈ’হিক মেলামেশা হয়েছিলো কি-না এ মর্মে ২২ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে কোনো বক্তব্য দেননি। তবে তিনি তার জবানবন্দির শেষের দিকে বলেন যে, তিনি (সুস্মিতা) স্বেচ্ছায় আ’সামিকে বিয়ে করেছেন এবং বিয়ের পর আ’সামির সঙ্গে ১১ দিন ঘর-সংসার করেছেন। উভয়পক্ষের স্বীকৃত মতে গত ৩ মে সুস্মিতা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এ কন্যা সন্তানের জন্ম তারিখ পর্যালোচনা করে ধরে নেওয়া যায় যে, কমপক্ষে এ কন্যা সন্তান জন্মের ১০ মাস ১০ দিন পূর্বে সে তার মায়ের গ’র্ভে এসেছিলো।



উপরিউক্ত আলোচনায় এ কথা পরিষ্কার যে আসামি তুষার ভিকটিম সুস্মিতার সঙ্গে যৌ’ন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলো। কিন্তু সেটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অ’পরাধ কি-না রাষ্ট্রপক্ষ উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে স’ন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় তাকে ওই ধারায় সাজা দেওয়া যায় না। রায়ের পর গত ২৩ জুলাই তুষারকে কা’রাগারে পাঠানো হয়। পরে তিনি আপিল করেন।



সুস্মিতা বলেন, আমাদের একটাই অ’পরাধ আমরা ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আইনের মারপ্যাচে আমাদের জীবন আজ বি’পন্ন। স্বামীকে মুক্ত করতে ৮৮ দিন বয়সের শিশু সন্তান নিয়ে আমাকে আদালতের দ্বারে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। তার আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন বলেন, তুষার বিচার চলাকালে আট মাস জে’ল হাজতে ছিলো। পরে জামিন পান। এখন তিনি কা’রাগারে আছেন।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.