Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ভারতে ডেঙ্গু রোগের কারণ বাংলাদেশের মশা: মমতা







নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংযমী হওয়ার সাবধানবাণী ভুলে ফের স্বমহিমায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সবুজের অভিযান’ নামে এক কর্মসূচিতে পদযাত্রা শেষে নজরুল মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ। আর সেখান থেকে ডেঙ্গুবাহী মশা ভারতে এসে জীবাণু ছড়াচ্ছে।’



বৃহস্পতিবার ১লা আগস্ট পরিবেশ রক্ষায় ভারত সরকারের ‘সবুজ বাঁচাও সবুজ জাগাও, সবুজের মাঝে পরিবেশ বাঁচাও’ অনুষ্ঠানে একাধিক সচেতনতা বার্তা দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তারই মাঝে এমন একটি বেফাঁস কথা বললেন তিনি। আর তাঁর এই মন্তব্যের পরই হাসাহাসি শুরু হয়েছে সবমহলে। খবর: দ্য ওয়াল।

তাঁর কথায়, “বাংলাদেশ আর আমাদের এক বর্ডার। সেখান দিয়ে মশা ঢুকতে পারে। বাংলাদেশে কামড় দিয়ে মশা ভারতে চলে আসতে পারে আবার এখানে কামড়ে ওখানে চলে যেতে পারে। এ পার বাংলায় কামড়ে ও পার বাংলায় চলে যেতে পারে, আবার ও পার বাংলায় কামড়ে এ পার বাংলায় চলে আসতে পারে।”



২০১৭ সালে বসিরহাট, বাদুড়িয়ায় ডেঙ্গু কার্যত মহামারির আকার নিয়েছিল। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সে সময়ে। তখনও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ওগুলো সব বাংলাদেশের মশা। বর্ডার পেরিয়ে এসে কামড়াচ্ছে। আবার ফিরে যাচ্ছে।” উনিশেও সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিলেন।



দূষণ নিয়েও চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে দূষণ রুখতে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, “উত্তর বঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে নেই। এই যে জলোছ্বাস, ফণী, ফণা, সুনামি – এ সবটাই দূষণের জন্য।” শব্দ দূষণ রুখতে অ্যাম্বুলেন্সের হর্ন নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলেন মমতা। তাঁর কথায়, “একটা অ্যাম্বুলেন্স আওয়াজ করে ৪০০-৫০০ (পড়ুন ডেসিবল)। এটাকে ৬০-এ বেঁধে দেওয়া হোক। অ্যাম্বুলেন্স নিশচয়ই হর্ন বাজাবে। কিন্তু এরা তো দেখি ইচ্ছে মতো বাজায়। দমকলের থেকে বেশি বাজায়। অনেক সময়ে পেশেন্ট থাকে না, তা-ও দেখি হর্ন বাজাচ্ছে। গায়ের উপর দিয়ে চলে যায়!”



জল সংরক্ষণের বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারতের একাধিক রাজ্যে জলসংকটের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “ছোট ছোট চুনোপুটি খাল বিল নদী থেকেই গঙ্গা তৈরি হয়। অন্য নদী তৈরি হয়। এমনিতেই বাংলা নদীমাতৃকার দেশ।”

দুর্গাপুজোগুলিকে ব্যাবহার করে কী ভাবে মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করা যায়, সরকারের আধিকারিকদের সে ব্যাপারটিও দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বলেন, “তোমরা বনদফতরের পক্ষ থেকে পুজো কমিটিগুলিকে গাছ দাও। ওগুলো লাগালে সৌন্দর্যায়নও হবে আবার পরিবেশও বাঁচবে।”














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.