Beanibazarview24.com
ডায়াবেটিস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) ‘ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ’ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় মসজিদে মসজিদে ডায়াবেটিস কর্নার স্থাপিত হবে!
জানা গেছে, ইমামদের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইমামদের মাধ্যমে মসজিদে মসজিদে ডায়াবেটিস বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির এক অভিনব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে মসজিদের ইমামদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দেশের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেম-ওলামাদের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বিষয়ে একটি খুতবাও তৈরি করা হয়েছে। ইমামদের মাধ্যমে ডায়াবেটিস পরীক্ষাসহ বেশকিছু সেবা দেয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির (বাডাস) একজন দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সারাবিশ্বেই ডায়াবেটিস মহামারি আকার ধারণ করেছে। বিশ্বে বর্তমানে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪২ কোটি। এ সংখ্যা ২০৪০ সালে ৬৪ কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ রোগের বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে বর্তমানে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ। ২০৪০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসব বিষয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময়ের জন্য রোববার (৪ অগাস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় বাডাস কনফারেন্স রুমে (বারডেমের পঞ্চম তলায়) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এইএচএম এনায়েত হোসেন ছাড়াও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.