Beanibazarview24.com
গত কয়েকদিনে রাজধানীতে মহামা’রির রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গু জ্বরে। সবার মধ্যে আ’তঙ্ক ডেঙ্গু নিয়ে।
ইতিপূর্বে দেশে বিভিন্ন সময় ডেঙ্গু রোগ দেখা গেলেও এবারের মতো ভয়াবহ ছিল না। এবার যেমন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি মৃ’ত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এবার সে খাতায় নাম লিখিয়েছেন নাদিরা বেগম (৪০)।
জানা যায়, একই সঙ্গে মা ও মেয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার (৩ আগস্ট) ভোরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মা’রা যান মা নাদিরা বেগম।
এই নিয়ে মাদারীপুর জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মা’রা গেলেন ৪ জন। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মাদারীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৮ রোগী ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে ২০ জন রোগী আক্রান্ত হয়েছেন মাদারীপুর থেকে। বাকিরা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হন। এখনো সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
মাদারীপুর স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকার রুবেল হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তার (২২), বুধবার রাতে ঢাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে মা’রা যান শিবচরের সলু বেপারীকান্দি এলাকার বাবু খানের ছেলে ফারুক খান (২২) ও তার আগের দিন মঙ্গলবার কালকিনি পৌরসভার ঠেঙ্গামা’রা গ্রামের বারেক বেপারীর ছেলে জুলহাস বেপারী (৪৫) ঢাকায় মা’রা গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে গৃহবধু নাদিরা বেগমকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় ৩০শে জুলাই। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে মাদারীপুর নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মা’রা যায়। তিনি কালকিনি উপজেলার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের আলমগীর মোড়লের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এসএম খলিলুজ্জামান জানান, ২০ জন জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে আ’তঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের চিকিৎসকদের ডেঙ্গুর ব্যাপারে আলাদা মনিটরিং করতে বলা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.