Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

স্কুলছাত্রী থেকে ‘ইয়া’বা কুইন’!







মেয়েটির নাম স্বপ্না। কিশোরী বয়সেই মা’দকাসক্ত হয়ে যায় স্বপ্না। সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে অন্ধকার জগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার চাঞ্চল্যকর বর্ণনা দিয়েছে আদুরী আকতার স্বপ্না।

যে বয়সে পড়াশোনা করে জীবন গড়ার কথা, সে বয়সেই মেয়েটি ই’য়াবার নেশায় প্রচণ্ডভাবে আসক্ত হয়ে পড়ে। গডফাদারদের নির্দেশে ই’য়াবা বহন করে নিয়ে যেত দূর-দূরান্তে। ই’য়াবা মা’দকের অন্ধকার জগতে সে ‘ই’য়াবা কুইন’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।



গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সামনে সাংবাদিকদের কাছে কিশোরী স্বপ্না বলে, ‘রুমা আপা আমার জীবনটা তছনছ করে দিয়েছে। আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি, তখন সে আমার মুখে ই’য়াবা তুলে দেয়। অন্যদিকে অভাবের সংসারের দায় সারতে ও নে’শা থেকে আমার জীবন রক্ষা করতে মা-বাবা অল্প বয়সেই আমাকে বিয়ে দেয়। কিন্তু ততদিনে আমি ই’য়াবা কুইন।’



গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের তালুকজামিরা গ্রামের মেয়ে আদুরী আকতার স্বপ্না। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সে বড়। বাবার টানাটানির সংসারে মোটামুটি চলে যাচ্ছিল দিন। মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন স্বপ্নার মা। স্কুলে পড়ালেখার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু কিনে দেওয়ার চেষ্টা করতেন।

স্বপ্নার বাবা পেশায় মিস্ত্রি। সে কাজের অর্থ থেকে স্বপ্নার পড়ালেখার খরচ কোনোরকমে জোগাড় হচ্ছিল। ২০১৫ সালে জেএসসি পাস করে স্বপ্না। কিশোরী বয়সেই বাবা-মা স্বপ্নাকে বিয়ে দেন পাশের গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে।



বিয়ের পর ট্রেনে স্বামীর সঙ্গে ঢাকা যাওয়ার পথে স্বপ্নার পরিচয় হয় রুমা নামের এক নারীর সঙ্গে। রুমার বাড়ি গাইবান্ধা শহরে বলে জানায় স্বপ্না। রুমা স্বপ্নাকে তাঁর যাত্রাবাড়ীর বাসায় থাকতে দেন। স্বপ্নাকে বলেন, ‘এখানে থেকে চাকরি খুঁজে নিও।’

তখনো এই কিশোরী বুঝতে পারেনি রুমার আসল উদ্দেশ্য। রুমা ধীরে ধীরে স্বপ্নাকে ই’য়াবা সেবনে আগ্রহী করে তোলে। স্বপ্নার স্বামী রেজাউলকে রুমা বলেন, ‘আপনি কাজ খুঁজুন।’

দেখতে দেখতে যাত্রাবাড়ীর রুমার বাড়িতেই ই’য়াবায় আসক্ত হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। একপর্যায়ে স্বপ্নাকে বাধ্য করা হয় নানা ধরনের অ’নৈতিক কাজ করতে।



এদিকে স্বপ্নার স্বামী আর তার কাছে ফিরে আসেনি। এরপর গাইবান্ধায় নিজ এলাকায় ফিরে আসে স্বপ্না। নিজের নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য যোগাযোগ করা শুরু করে গাইবান্ধার ই’য়াবা বিক্রেতাদের সঙ্গে। জড়িয়ে পড়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে। ই’য়াবার টাকা জোগাড় করতে অসা’মাজিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে স্বপ্না। ঝুঁকে পড়ে অ’পরাধ জগতের দিকে।



বাদিয়াখালী, বোনারপাড়া, রিফায়েতপুর, গাইবান্ধা শহর এমনকি বগুড়ায় তার যোগাযোগ হয় আন্ডারওয়ার্ল্ডের গডফাদারদের সঙ্গে। তাদের কথামতো ই’য়াবা বহন করে স্বপ্না নিয়ে যায় দূর-দূরান্তে গ্রাহকের কাছে। এলাকায় এই কিশোরীকে সবাই এক নামে চেনে।

পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর স্বপ্না জানায়, নেশার টাকা জোগাড় করার জন্যই বাধ্য হয়ে সে অসা’মাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে।

এদিকে এ খবর জানাজানি হওয়ার পর মেয়েটির বাবা নির্বাক। তাঁর মেয়ে এমন হতে পারে, তিনি ভাবতেও পারেন না। মেয়েকে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে সবার প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান স্বপ্নার বাবা।

সাংবাদিকের কাছে স্বপ্না বলে, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি এখন ই’য়াবা কুইন। কয়জন আছে আমার মতো? আমার এ পাপের পথে কেউ ইচ্ছে করে আসে না। আমাকে এ পথে ঠেলে দেওয়া রুমা আপাদের প্রতিরোধ করুন। না হলে আমার মতো অনেক কিশোরী মেয়ে আসল পথ হারিয়ে ফেলবে।’

গত সোমবার রাতে গাইবান্ধা থানার পুলিশ বাদিয়াখালী ও তালুক জামিরা থেকে ওই কিশোরীসহ কয়েকজনকে আটক করার পর চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.