Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

মসজিদে শি’শুকে ধ’র্ষণের পর হাসপাতালে হ’ত্যাচে’ষ্টা, ইমাম আ’টক







ধ’র্ষণ করেই ক্ষা’ন্ত ছিলেন না মসজিদের ইমাম ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলাম। ধ’র্ষণ ঘট’নাটি যাতে থানা পুলিশকে জা’নাতে না পারে সে লক্ষ্যে শিশুটির বাসার সামনে পা’হারা বসানো হয়। কিন্তু এর মধ্যে শিশুটির শা’রীরিক অবস্থা আরও খারা’প হতে থাকে। উপা’য়ান্তর না দেখে তার পরিবার লু’কিয়ে ধ’র্ষণের শি’কার ৮ বছরের শিশুটিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভ’র্তি করায়। সেখান থেকেও শিশুটিকে অপহ’রণ ও হ’ত্যার জন্য কয়েক দ’ফায় চে’ষ্টা করা হয় বলে অভি’যোগ ভু’ক্তভো’গী পরিবারের।



নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি মসজিদে ঝা’ড় ফুঁ’ক ও প’ড়া পা’নি দেবার কথা বলে আট বছরের এক অসুস্থ শিশুকে ধ’র্ষণের অভি’যোগে মসজিদটির ইমাম ফজলুর রহমানকে গ্রে’ফতার করেছে র‍্যা’ব। এ ঘটনা ধা’মাচাপা দেয়া ও হাসপাতাল থেকে ধ’র্ষিতা শিশুটিকে অপহ’রণের চে’ষ্টার অ’ভিযোগে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ আরো পাঁচজনকে আ’টক করা হয়েছে।



শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার চাঁদমা’রি এলাকায় মাজার সংলগ্ন বায়তুল হাফেজ জামে মসজিদের তৃতীয় তলায় ইমাম ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত কক্ষে এ ধ’র্ষণের ঘট’না ঘ’টে। পরে পরিবারের অভি’যোগের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ফতুল্লার চাঁদমা’রি ও ইসদাইরসহ বিভিন্ন স্থানে অ’ভিযান চালিয়ে ধ’র্ষক ফজলুর রহমানসহ ছয়জনকে আ’টক করে র‍্যা’ব। আ’টককৃত অপর পাঁচজন হলেন মসজিদটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি শরীফ হোসেন, ইমামের সহযোগী রমজান আলী, গিয়াস উদ্দিন, হাবিব এ এলাহি এবং মোতাহার হোসেন।



বুধবার দুপুরে র‍্যাব-১১ অধিনায়ক (সিও) লেফটেনেন্ট কর্নেল কাজী শামসের উদ্দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

ধ’র্ষিতা শিশুটি ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী এবং ওই এলাকারই বাসিন্দা। তার বাবা একটি গার্মেন্টস কারখানার নৈ’শ প্র’হরী ও মা গার্মেন্টস ক’র্মী। তাদের তিন মেয়ের মধ্যে এই শিশুটি সবার ছোট।

ধ’র্ষক ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলাম চাঁদমা’রি বায়তুল হাফেজ জামে মসজিদে ইমামতি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার সরাপাড়া গ্রামের মৃ’ত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভো’গ এলাকায় স্ত্রী-সন্তানসহ ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন তিনি।



প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাব আরো জানায়, ধ’র্ষিতা শিশুটি বেশ কিছুদিন যাবত প্রায় রাতেই দুঃ’স্ব’প্ন দেখে ভ’য় পেতো। এতে শিশুটি মা’নসিক’ভাবে অ’সুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় কয়েকজনের পরামর্শ মতে ঝা’ড় ফুঁ’ক ও প’ড়া পা’নি আনার জন্য শুক্রবার সকালে শিশুটির বাবা চাঁদমা’রি এলাকায় বায়তুল হাফেজ জামে মসজিদের ইমাম ফজলুর রহমানের কাছে শিশুটিকে নিয়ে যায়। ইমাম ফজলুর রহমান এ সময় ঝা’ড় ফুঁ’কের জন্য আগরবাতি মোমবাতি আনার জন্য কৌশলে শিশুটির বাবাকে দোকানে পাঠিয়ে মসজিদের দরজা ভেতর থেকে ব’ন্ধ করে দেয়। পরে নিজের রুমে শিশুটিকে নিয়ে হাত বেঁ’ধে ও মু’খে স্ক’চটে’প লাগিয়ে ধ’র্ষণ করে। পরে মসজিদের ছাদে পানির ট্যাং’কির পানি দিয়ে শিশুটির কো’মর থেকে পা পর্যন্ত ধু’য়ে পরিস্কার করে দেয়। এরপর শিশুটিকে জামাকাপড় পড়িয়ে ইমাম ফজলুর রহমান ছু’রি দেখিয়ে শি’শুটিকে ভ’য় দেখায় এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে জবা’ই করে হ’ত্যার হু’মকি দেয়।



পরে তার বাবা এসে শিশুটিকে বাসায় নিয়ে গেলে র’ক্তক্ষ’রণ শুরু হয় এবং শিশুটি ধ’র্ষণের শি’কার হয়েছে বলে তার বাবা-মা বুঝতে পারে। এক পর্যায়ে শিশুটি তারা বাবা মাকে ধ’র্ষণের বিষয়টি জানালে তারা বিকেলে ওই মসজিদে গিয়ে মুসুল্লিদের জানালে ইমামের পক্ষের লোকজন তাদের হু’মকি দেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুটিকে গু’রুতর অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানেও শিশুটিকে অপহ’রণ ও হ’ত্যা করার জন্য কয়েক দ’ফা চে’ষ্টা চালায় ইমামের অনুসারীরা।

এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের ট’য়লেট ও বে’ডের নিচে শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা মাকে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে। হাসপাতালের নার্সদের সহায়তায় শিশুটির বাবা বো’রকা পরে র‍্যা’ব কার্যালয়ে গিয়ে অ’ভিযোগ দেন। পরে র‍্যাব গোয়েন্দা ন’জরদা’রির মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয় এবং মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল সাতটা পর্যন্ত গ্রে’ফতার অ’ভিযান চালায়।

প্রথমে শহরের দেওভো’গ এলাকায় অ’ভিযান চালিয়ে বাসা থেকে গ্রে’ফতার করা হয় ধ’র্ষক ইমাম ফজলুর রহমানকে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধ’র্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে ঘটনার আদ্যো’পান্ত বর্ণনা করেন। তার দেয়া তথ্যমতে রাতভর অ’ভিযান চালানো হয় চাঁদমা’রি ও ইসদাইরসহ ফতুল্লার বেশ কয়েকটি এলাকায়। একে একে গ্রে’ফতার করা হয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি শরীফ হোসেনসহ অপর পাঁচজনকে।

র‍্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আলেপ উদ্দিন জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধ’র্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইমামের রুম থেকে ধ’র্ষণের বিভিন্ন আ’লামতও সংগ্র’হ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ধ’র্ষিতা শি’শুটির শা’রীরিক অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁ’কি’পূর্ণ। টানা ছয়দিন যাবত তার র’ক্তক্ষ’রণ হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে একাধিকবার অপহ’রণের চে’ষ্টা করা হয়েছিল। তার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে র‍্যা’বের নিরাপত্তা পা’হা’রার মধ্য দিয়ে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।

এ ব্যাপারে গ্রে’ফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া এ ঘটনায় আরো যারা জ’ড়িত রয়েছে তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের সবাইকে গ্রে’ফতার করে আইনের আ’ওতায় আনা হবে।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.