কাশ্মীরি সুন্দরী মেয়েদের বিয়ে করার সুযোগে উত্তেজিত বিজেপি বিধায়ক

সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিলের পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা কাশ্মীর। মোদী সরকারের আচমকা এমন সিদ্ধান্তে দেশ-বিদেশেও যখন সমালোচনা তুঙ্গে; ঠিক তখনই সেই আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা ও উত্তর প্রদেশের বিধায়ক বিক্রম সাইনি।



কাশ্মীরের ফর্সা মেয়েদের এবার বিয়ে করার সুযোগ এসেছে। এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন যোগীরাজ্যের বিজেপি বিধায়ক। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার উদযাপন অনুষ্ঠানে মুজফফরনগরের কাটাউলি এলাকার বিধায়ক বিক্রম সিং সাইনি একথা বলেছেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



বিধায়ক বলেন, “কর্মীরা খুবই উত্তেজিত এবং যারা অবিবাহিত তারা তো এবার ওখানে বিয়েও করতে পারবে। এখন আর কোনও সমস্যা নেই। এর আগে ওখানে মহিলাদের উপর অত্যাচার হত। যদি ওখানকার কোনও মেয়ে উত্তরপ্রদেশের কোনও ছেলেকে বিয়ে করত তাহলে নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যেত। ভারত ও কাশ্মীরের নাগরিকত্ব আলাদা ছিল। আর এখানকার মুলসিম মহিলাদেরও আনন্দ করা উচিত। ওখানে বিয়ে করুন। ফরসা কাশ্মীরি মেয়েদের। আনন্দ করা উচিত। সবার আনন্দ করা উচিত, সে হিন্দু হোক কি মুসলিম। এ নিয়ে সারা দেশের আনন্দ করা উচিত।”



এ ব্যাপারে ওই বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, “এখন কোনও সমস্যা ছাড়াই যে কেউ কাশ্মীরি মহিলাদের বিয়ে করতে পারবেন। এটাই সত্যি। এটা কাশ্মীরের মানুষের স্বাধীনতা। এখন কাশ্মীর স্বাধীনতা পেয়েছে।”



ওই ভিডিওয় বিধায়ক আরও বলেছেন, “মোদীজি আপনি আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। সর্বত্র মানুষ ঢাক বাজিয়ে আনন্দ করছে। সে লাদাখ হোক কিংবা লেহ। গতকাল আমি একজনকে ফোন করে জানতে চাই ওখানে কোনও বাড়ি আছে কিনা।” এ ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, “আমি কাশ্মীরে বাড়ি কিনতে চাই। ওখানে সবকিছুই সুন্দর, ওই জায়গাটা, ওখানকার পুরুষ এবং মহিলারা। সব কিছু।”

পরে নিজের মন্তব্যের সমর্থনে বিধায়ক বলেন, নিজের গ্রামে যে ভাষায় কথা বলেন সে ভাষাতেই এখানেও কথা বলেছেন তিনি।