Beanibazarview24.com
৩১ বছর বয়সী মরিয়ম গুল চলতি সপ্তাহে যখন জীবনে প্রথমবারের মতো পবিত্র কাবার দিকে তাকালেন, তখন তার কাছে মনে হলো হৃদয়টা শান্তিতে ভরপুর হয়ে উঠেছে।
কালো গিলাফে ঢাকা ইসলামের পবিত্রতম জায়গায় পা দিয়ে তার কাছে মনে হয়েছে তিনি যেন ক্রা’ইস্ট’চার্চ থেকে বহু দূরের এক পৃথিবীতে এসেছে। নিউজিল্যান্ডের ওই শহরে এখন তারা বাবা-মা আর ভাই চিরনিদ্রায় আছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ক্রা’ইস্ট’চার্চের এক মসজিদে স’ন্ত্রাসী হা’মলায় ৫১ জন মুসল্লী প্রাণ হারিয়েছিলেন।
“আমার মনে হলো একটা প্রতীকের দিকে তাকিয়ে আছি, যেটা শান্তির প্রতীক। যেটা স্বয়ং আল্লাহর নিজের প্রতীক। মনে হলো তিনি এখানেই আছেন।” কাবার শরীফের দিকে নিজের প্রথম দৃষ্টিপাতের মুহূর্তের অনুভূতি এভাবেই প্রকাশ করছিলেন গুল।
গুল একা নন। ক্রা’ইস্টচা’র্চ হা’মলা থেকে অল্পের জন্য বেঁ’চে যাওয়া এবং নি’হতদের স্বজনদের মধ্য থেকে ২০০ জনকে এবার বিশেষ ব্যবস্থায় হজ পালনের সুযোগ দিয়েছে সৌদি সরকার। সাদা চামড়ার এক স’ন্ত্রাসীর অ’পকর্মের ভুক্তভোগী এই মানুষদের হজের সব খরচ বহন করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
হাজিদের অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। তাদের সবাই বলেছেন, হজ তাদের ক’ষ্ট ভুলিয়ে দিতে এবং নতুনভাবে জীবন শুরু করতে সহায়তা করছে।
মরিয়ম গুল বলেন, “আমার এখন অনেক ভাল লাগছে। নিজেকে অনেক গোছানো মনে হচ্ছে, বি’ক্ষিপ্ত-বি’শৃংখল মনে হচ্ছে না। এখন আর আগের মতো খা’রাপ লাগার অনুভূতি নেই আমার মনে। এখন অনেক শান্তি বোধ করছি এবং শান্তির প্রচারে আরও মনোযোগী হয়েছি।”
তাজ মু’হাম্মদ স’ন্ত্রাসীর গু’লিতে আ’হত হয়েছিলেন। আল নু’র মসজিদের ঘটনায় তার পায়ে তিনটি গু’লি লেগেছিল। এ কারণে নিজের পায়ে তাওয়াফ করতে পারবেন না। হুইল চেয়ারে করে প্রদক্ষিণ করবেন কাবা শরীফকে। হজের অভিজ্ঞতা তার ক’ষ্টকে কমিয়ে দিয়েছে, মনে কতৃজ্ঞতাবোধের জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘হজে আসা খুব সহজ ছিলো না’।
সূত্র: সিএনএন
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.