Beanibazarview24.com
নেত্রকোনার চল্লিশা এলাকার সারিন্দা হোটেলে ঈদের বাসের যাত্রাবিরতিতে গৃহবধূকে (১৮) ছয়জন মিলে ধ’র্ষণ করেছে। বাড়ি পৌঁছার আগেই এমন ঘটনার শি’কার হওয়ায় ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে ওই গৃহবধূর। এ অবস্থায় কাঁদছেন ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী।
শনিবার ভোররাতে নেত্রকোনার চল্লিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে গৃহবধূকে গণধ’র্ষণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোররাতে ঢাকা থেকে স্বামীর সঙ্গে নিজ বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। গৃহবধূর স্বামী ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ঈদের ছুটিতে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। নেত্রকোনার চল্লিশা এলাকার সারিন্দা হোটেলে যাত্রাবিরতি তাদের বাস।
এ সময় হোটেলের বাথরুমে যান গৃহবধূ। তখন কয়েকজন যুবক কৌশলে গৃহবধূর স্বামীকে সারিন্দা হোটেলে আ’টকে রাখে। পাশাপাশি আরও কয়েকজন যুবক গৃহবধূর বাথরুমের সামনে অবস্থান নেয়।
কিছুক্ষণ পর গৃহবধূ বাথরুম থেকে বের হলে সারিন্দা হোটেলের ম্যানেজার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের ফিরোজ আলী মেম্বারের ছেলে এনামুল হক সম্রাটের (২৭) নেতৃত্বে গৃহবধূকে তুলে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যায় পাঁচ যুবক। সেখানে গৃহবধূকে পা’লাক্রমে ধ’র্ষণ করে ছয়জন।
গৃহবধূকে গণধ’র্ষণকারী ছয় ব্যক্তি হলো- ফিরোজ আলী মেম্বারের ছেলে এনামুল হক সম্রাট, একই এলাকার কালা মিয়ার ছেলে জিহান (২৭), শামছুল হকের ছেলে রাসেল (৩০), মজলিস উদ্দিনের ছেলে বাশার (২৭), জামাল উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম পাভেল (২৮) ও শামছুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩০)।
খবর পেয়ে এরই মধ্যে শামছুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম, জামাল উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম পাভেল, মজলিস উদ্দিনের ছেলে বাশার ও ফিরোজ আলী মেম্বারের ছেলে এনামুল হক সম্রা’টকে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ গৃহবধূকে গণধ’র্ষণের কথা স্বীকার করেছে তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে আ’সামি করে মা’মলা হয়েছে। এরই মধ্যে গৃহবধূকে গণধ’র্ষণে জড়িত চারজনকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ গৃহবধূকে গণধ’র্ষণের কথা স্বীকার করেছে তারা। গণধ’র্ষণের শি’কার গৃহবধূকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.