Beanibazarview24.com
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহার দিনও চলছে ১৪৪ ধারা। স্থানীয় জনগণকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। পথে পথে টহল দিচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারির গাড়ি।
মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও গত শুক্রবার থেকে কাশ্মীরে কোনো বড় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল।
মূলতঃ সহিং’সতা ছড়িয়ে পড়ার আশ’ঙ্কায় শ্রীনগরের বেশিরভাগ মসজিদেই ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীরে স্থানীয় ছোট ছোট মসজিদে ঈদের নামাজ পড়া হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে সেসব ঈদের জামাতের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানিয়েছে, ঈদের বিশেষ নামাজের পর কোথাও কোথাও অ’স্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে বলে খবর রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। তাই একদিকে মানুষকে ঈদের নামাজ পড়তে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া, অন্যদিকে শা’ন্তি-শৃঙ্খ’লা বজায় রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের সামনে।
আর এ কারণেই কা’রফিউ তুলে নেয়ার একদিন না পেরোতেই আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হয় জম্মু কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকায়। ঈদ উল আযহা উপলক্ষে নিরাপত্তার চা’দরে ঢেকে ফেলে হয়েছে পুরো কাশ্মীর উপত্যকাকে।
গতকাল রবিবার সকালে একটি ভারতীয় চ্যানেল দাবি করে, শ্রীনগরের রাস্তায় মাইক লাগানো পুলিশ ভ্যান থেকে জনসাধারণকে বাড়ি ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। দোকানদারদের বলা হয়, দোকানপাট বন্ধ করতে।
ঈদের আগে সেখানে ফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি প্রশাসন। শুধু বলা হয়েছে, মোবাইল ও ল্যান্ডফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেওয়া হবে। ওইদিন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন জানায়, ঈদে প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ৩০০ ফোন বুথ চালু করা হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, এখন সরকারের মূল লক্ষ্য শান্তি বজায় রাখা এবং গুজব ও ভুল খবর ছড়াতে না দেওয়া। ঈদে মসজিদের প্রার্থনায় যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তাঁর দাবি, কাশ্মীরের কোথাও অশান্তির খবর নেই। রবিবার দোকানপাট খোলা ছিল। কেনাকাটাও হয়েছে। খাবারদাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি, বাড়ি বাড়ি জিনিস পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘মানুষের অসুবিধা কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ফোনের ওপর নিষেধজ্ঞা তোলা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।’
শ্রীনগরের জেলা প্রশাসক টুইটে লেখেন, ২৫০টির বেশি এটিএম চালু রয়েছে। ব্যাংক খুলেছে। ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম বেতনও দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং এবং মুখ্য সচিব সুব্রহ্মণ্যমের দাবি, গত এক সপ্তাহে কোনো অ’শান্তির ঘটনা ঘটেনি। গু’লি চা’লনার খবর সাজানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শুক্রবারই সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীনগরের সৌরায় বিক্ষো’ভকারীদের নি’য়ন্ত্রণে কাঁ’দানে গ্যা’স ও ছ’ররা গু’লি ছো’ড়ে পুলিশ। আ’তঙ্কে কয়েকজন নারী ও শিশু পানিতে ঝাঁ’প দেন। তবে বিবৃতি দিয়ে ওই খবর অ’স্বীকার করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.