Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

দাগি থেকে নতুন জীবন, একটা জ্যান্ত স্বাধীন স্বপ্নের মুক্তধারা! পড়ে দেখুন…







অ’পহরণ থেকে খু’ন, কেসের সংখ্যা ১৮। জে’ল খেটেছেন টানা ন’বছর। জে’ল থেকে বেরিয়ে মুক্তির স্বাদ তিনি পেয়েছেন কিন্তু লড়াইটা এত সোজা ছিল না। জে’ল খাটা আসামি শুনেই তাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে, মান-সম্মান তো দূরের কথা, সামান্য ঝাড়ুদারের কাজও কেউ দিতে চাননি।



অপহরণ থেকে খু’ন, কেসের সংখ্যা ১৮। জে’ল খেটেছেন টানা ন’বছর। জে’ল থেকে বেরিয়ে মুক্তির স্বাদ তিনি পেয়েছেন কিন্তু লড়াইটা এত সোজা ছিল না। জে’ল খাটা আসামি শুনেই তাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে, মান-সম্মান তো দূরের কথা, সামান্য ঝাড়ুদারের কাজও কেউ দিতে চাননি। শেষে একদিন জেদের বশেই প্রশিক্ষণ নিলেন হাউস কিপিংয়ের। সঙ্গী করলেন তাঁরই মতো আরও কিছু জে’লফেরত বন্দীকে। খুললেন নিজের সংস্থা। এখন প্রায় ৪৭০ জন লোক কাজ করেন তাঁর সংস্থায়। রাজ্য জুড়ে রয়েছে তার শাখা। সেইসঙ্গে তিনি একজন সফল অভিনেতা। আইআইএম কলকাতা থেকে ব্যবসার জন্য পেয়েছেন বিশেষ স্বীকৃতি। সম্প্রতি একটি নাটকের দলও খুলেছেন তিনি। তিনি নাইজেল আকারা। শ্রাবণের এক সন্ধ্যায় মনের ঝাঁপি খুললেন গোত্রের তারেক আলি। তারই কিছু অংশবিশেষ রইল আপনাদের জন্য।



সেন্ট জেভিয়ার্সের ফাইনাল ইয়ারেই বদলে গেল জীবন?
স্নাতকের ফাইনাল ইয়ারে আমার জে’ল হয়। তারপর টানা নটা বছর জে’লে। জুলাইয়ের এক বিকেলে ছাড়া পেলাম। ততদিনে বুঝতে পেরেছি জীবনে আমি এমন কিছু খারাপ রপেছি যার জন্য যা শাস্তি পাবার তা পেয়েছি। কিন্তু এবার আমি বাঁচতে চাই। ততদিনে এটুকু জে’লেছিলাম লোকেরা ভালো কাজের প্রশংসা করে। তবে আমার মা বলেছিলেন, তুমি শহর ছেড়ে বাইরে যাও। সেখানেই নতুন করে জীবন শুরু কর। আসলে আমার মায়ের ওই ট্রমা টা কাটতেও সময় লেগেছিল।



এরপর?
মা- কে আমি জোর গলায় বলেছিলাম আমি কলকাতাতেই থাকব। যেটুকু করার এখানেই করব। তোমার হারানো সম্মান আমি ফিরিয়ে দেব, এই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। দুমাস সময় নেওয়ার পর মা সম্মতি দিয়েছিলেন। এরপর জে’ল থেকে বেরিয়ে গড়িয়াতে একটা এক কামরার ফ্ল্যাট নিয়ে থাকা শুরু করি। এখান থেকেই আমার নতুন জীবনের শুরু।



একটা সময় তো আপনার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল…
আমার বিরুদ্ধে ১৮ টা কেস ছিল। আমি বেরিয়ে আসার পরও ২টো কেসের ট্রায়াল ছিল। তবে যেটুকু যা আমি করেছি, সবই ওই বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে।

জে’লে প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ভেবেছিলাম জীবনের এই কালো দাগ আর কোনও দিন মুছতে পাব না। মায়ের চোখের দিকে সেদিন সরাসরি তাকাতে পারিনি। খুব কষ্ট হয়েছিল মানিয়ে নিতে। কিন্তু আর কোনও উপায় ছিল না। আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। ওখানের জগতটাই আলাদা। তবে কালচারাল থেরাপিতে আমি কিছুটা আশার আলো দেখেছিলাম।



জীবন বদলানোর নেপথ্যে কি তাহলে মঞ্চ?
প্রথম যখন রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাওয়া হয়, ওই মঞ্চ আলো দেখে আমার চোখে জল চলে এসেছিল। ঠিক করেছিলাম আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাবো না। প্রথম দিকে আমিও ভেবেছিলাম ও সব নাচ শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য। কোনওদিন অভিনয়ও করিনি।

মুক্তধারার পর কি গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে?
মুক্তধারার পর আমারা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগটা একটু সহজ হয়। চিনতে শুরু করে, গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। আমার কোম্পানিও আয়তনে বাড়ে। জে’ল থেকে বেরিয়ে এসে অনেকেই আমার কোম্পানিতে যোগ দেয়। শিবুদা-নন্দিতা দি আমার লড়াইটাকে সোজা করে দিয়েছেন।

তারেক আলির টার্নিং পয়েন্ট তাহলে কী?
মুক্তোধারা। আমি প্রথমে শিবুদাদের বলেছিলাম ক্যামেরা কী আমি তার কিছুই জানি না। তখন আমাকে ওঁরা ৪৫ দিনের একটা ওয়ার্কশপ করিয়েছিলেন। সেই শেখা থেকেই আমার অভিনয় জীবন শুরু। অতীতকে পিছনে ফেলে নতুন করে পথ চলা শুরু।

জীবনকে এখন কীভাবে দেখেন?
আমার অনেক আশা নেই। দিন যেভাবে আসে সেভাবেই চলি। অতীতকে চাপা দিতে চাই না। পথ চলতে চলতেই কাজ করতে চাই। এই যে যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করি, মাদকাসক্তদের নিয়ে কাজ করি- এগুলো কিন্তু আমার প্রতিবাদের ভাষা। জীবনে ভুল সকলেই করেন। কিন্তু যখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চান তখন তাঁদের একটা সুযোগ দেওয়াই উচিত।
সূত্র: Eisamay.indiatimes.com

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.