Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

স্ত্রীকে কে’টে ১০ টু’করো নদীতে, ৫ টু’করো ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে রাখে মামুন!







পারিবারিক কলহের জের এবং স্ত্রীর জমানো ৪০ হাজার টাকা মে’রে দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বা’সরোধে হ’ত্যা করে স্বামী মামুন মিয়া (২৫)। হ’ত্যার পর দেহ গোসলখানায় নিয়ে নিজেই ১৫ টু’করো করেন।

পরে শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে শরীর পলিথিনে পেঁচিয়ে একটি ট্র্যাভেল ব্যাগে ভরে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ব্রিজ থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। ওই দিন সন্ধ্যায় হাত, পা ও মাথা একইভাবে ট্র্যাভেল ব্যাগে ভরে একই স্থানে গিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। একইভাবে ফেলার জন্য দেহের বাকি ৫ টু’করো পলিথিনে মুড়িয়ে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে লুকিয়ে রাখে। গ্রে’প্তারের পর পুলিশের কাছে এভাবে স্ত্রীকে খু’নের ‘রোমহ’র্ষক বর্ণনা দেয়।



আসামি মামুন বুধবার বিকালে গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুল হক এর আদালতে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশের ব্রিফিং ও আদালত সূত্রে জানা গেছে আসামি মামুন একাই খু’নের ঘটনা ঘটিয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার তার কর্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে মামুনের সূত্রে এ তথ্য জানান। গ্রে’প্তার হওয়া মামুন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বড়বাড়ি এলাকার ফজলুল হকের সন্তান।



পুলিশ সুপার বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও শ্রীপুর থানা পুলিশ ঢাকা জেলার আগুলিয়া থানার কবিরপুর এলাকা থেকে মামুন মিয়াকে গ্রে’প্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গার্মেন্টস কারখানা ছুটির দিনে সে সুমিকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে পলিথিন, চা’কু, তিনটি ট্র্যাভেল ব্যাগ ও ঘুমের ওষুধ কিনে আনে। সন্ধ্যায় হালিমের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তা খাইয়ে সুমিকে অ’চেতন করে। ওই রাত একটার দিকে তাকে শ্বা’সরোধ করে হ’ত্যা করে। পরে সুমির লা’শ গোসলখানায় নিয়ে চা”কু দিয়ে কে’টে ১৫ টু’করো করে।



পরে শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে শরীর পলিথিনে পেঁচিয়ে একটি ট্র্যাভেল ব্যাগে ভরে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ব্রিজ থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। ওই দিন সন্ধ্যায় হাত, পা ও মাথা একইভাবে ট্র্যাভেল ব্যাগে ভরে একই স্থানে গিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। একইভাবে ফেলার জন্য দেহের বাকি ৫ টু’করো পলিথিনে মুড়িয়ে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে লুকিয়ে রাখে।



এদিকে সুমির বোন বৃষ্টি জানিয়েছেন, ঈদ করতে শুক্রবার বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সুমির। শুক্রবার সকালে মামুন তার মাকে ফোনে জানিয়েছে সুমিকে সে বাসে তুলে দিয়েছে। বিকেলে সুমি বাড়িতে না পৌঁছলে মা বিষয়টি বৃষ্টিকে জানান। তারা বোনজামাই মামুনের সাথে যোগাযোগ করেন ও তার কথায় আশ্বস্ত হয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। শনিবারও সুমি বাড়িতে না পৌঁছলে বৃষ্টি সুমিদের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করেন। এ সময় বাড়ির লোকজন মামুনকে বড় ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখেছে, তবে সুমিকে দেখেনি বলে জানায়। পরে তিনি তালা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে বোনকে না পেয়ে নতুন তালা লাগিয়ে চলে যান।



সুমির বোন শনিবার সকালে ঘরের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগানোর কারণে দে’হের খণ্ডিত অবশিষ্ঠ ৫ টু’করো সে নিতে পারেনি। পরে মামুন পালিয়ে যায়।

বৃষ্টি জানিয়েছে, ঈদের দিন সোমবারও সুমি বাড়িতে না পৌঁছলে সন্ধ্যা টার দিকে তিনি আবার বোনের ভাড়া বাড়িতে যান। ঘরের দরজা খুলতেই দুর্গন্ধ পেয়ে তল্লাশি করে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মাংসের টু’করো দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ মাংসের টু’করোগুলো উ’দ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ম’র্গে পাঠায়। এ ঘটনায় সুমির পিতা নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানার মামলা করেছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আফজাল হোসাইন, শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী উপস্থিত ছিলেন।

সুমি আক্তার (২০) নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার দেবকান্দা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের সন্তান। তিনি ও তার স্বামী মামুন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার মাস্টারবাড়ির গিলারচালা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সুমি স্থানীয় একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করত। মামুন ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর কাজ করত।

জবানবন্দি দেওয়ার পর আসামি মামুনকে গাজীপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবির ওসি আফজাল হোসাইন।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.