Beanibazarview24.com
গত শুক্রবার গভীর রাতে কলকাতায় জাগুয়ার-মার্সিডিজ বেঞ্চ সেডানের সংঘর্ষে প্রাণ যায় দুই বাংলাদেশি নাগরিকের। চিকিৎসা করানোর উদ্দেশেই কলকাতায় গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু রোগে নয়, আকস্মিক দুর্ঘ’টনার কবলে পড়েই প্রা’ণ খো’য়াতে হল তাঁদের।
প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ কলকাতায় যান চিকিৎসার প্রয়োজনে। মোহাম্মদ মইনুল আলম আর তার বন্ধু ফারহানা ইসলাম তানিয়াও গিয়েছিলেন চিকিৎসার প্রয়োজনে। কিন্তু এবার আর দেশে ফেরা হল না। গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃ’ত্যু হলো দুই বন্ধু মইনুল (৩৬) ও তানিয়ার (৩০)। অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচেছেন জিয়াদ। দ্রুতগামী একটি জাগুয়ার গাড়ি প্রথমে একটি মার্সিডিসকে ধা’ক্কা দিয়ে নি’য়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মইনুলদের চা’পা দেয়।
মইনুল যশোরের ঝিনাইদহের বাসিন্দা। একটি মোবাইল কম্পানিতে ম্যানেজার পদে কর্মরত থাকার সূত্রে তিনি ঢাকায় থাকতেন। বন্ধু তানিয়া ঢাকায় সিটি ব্যাংকের কর্মী ছিলেন। ভাইয়ের এমনভাবে মৃ’ত্যু হয়েছে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না মইনুলের বড় ভাই কাজি মোহাম্মদ সাইফুল আলম। কা’ন্নাভেজা গলায় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভাবতেই পারছি না এমনটা হয়েছে। পরশু রাতেই কথা হয়েছিল। আমি ঝিনাইদহে যাচ্ছি বাবা-মায়ের কাছে। তারা তো এখনও কিছুই জানেন না।’
সাইফুল জানান, তানিয়া তার ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন। মইনুলের স্ত্রী এবং ৪ বছরে ছেলে আছে। চিকিৎসার প্রয়োজনে জিয়াদ এবং তানিয়াকে নিয়ে মইনুল গত ১৪ তারিখ ভারতে আসেন। উঠেছিলেন মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ১৫ অগস্ট রাতে মইনুলের সঙ্গে শেষ কথা হয় সাইফুলের। তিনি বলেন, ‘কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চোখ দেখাতে গিয়েছিল মইনুল। এবারের কলকাতা যাত্রা ছিল রুটিন চেকআপের জন্য। তানিয়া-জিয়াদও ওর সঙ্গে গিয়েছিল।’
এদিকে কলকাতার গণমাধ্যমে এবং পুলিশ জানিয়েছে, রাতে একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়ার পর তিন জন ফুটপাত ধরে হেঁটে ফিরছিলেন মির্জা গালিব স্ট্রিটের হোটেলে। হঠাৎ দ্রুতগতিতে আসা একটি জাগুয়ার গাড়ি এসে ধা’ক্কা মা’রে তাদের। ঘটনাস্থলেই মৃ’ত্যু হয় মইনুল এবং তানিয়ার। আগামী রবিবারই দুজনের মৃ’তদে’হ পেট্রোপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসবে। সেখান থেকে মইনুলের ভাই সাইফুল গ্রহণ করবেন মরদেহ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.