Beanibazarview24.com
আপনি জানেন কি পৃথিবীর সব থেকে বড় ঘড়ি কোনটি? না এটি লন্ডনের বিগবেন না। বিগবেন থেকেও ছয় গুণ বড় এ ঘড়িটি রয়েছে মুসলমানদের পবিত্র নগরী মক্কায়।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সৌদি আরবের মসজিদ আল হারাম থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে মক্কা রয়েল ক্লক টাওয়ারে অবস্থিত এই ঘড়িটি মক্কা ক্লক নামেই পরিচিত। মক্কা ক্লক একটি চতুর্মুখী ঘড়ি যা প্রায় ৪০০ মিটার উঁচুতে স্থাপিত। তাই শহরের চারপাশ থেকেই দেখা যায় এটি।
রাতে ১৭ কিলোমিটার এবং দিনে ১২ কিলোমিটার দূর থেকে স্পষ্টভাবেই ঘড়ির সময় দেখা যায়। এই ঘড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯ কোটি ৮০ লক্ষ রঙিন কাচের টুকরো এবং প্রায় ২০ লাখ এলইডি লাইট।
এছাড়া ২১ হাজার সাদা ও সবুজ বাতি ঘরির উপরের অংশে স্থাপিত করা হয়েছে। এতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ফ্লাশ লাইটের মধ্যমে আলো জ্বালিয়ে সংকেত দেওয়া হয়।
ঘড়ির চারপাশে আরবি ক্যালিওগ্রাফিতে লেখা হয়েছে আল্লাহু আকবার। আল্লাহর নামের উপর ৫৯০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে সোনা দিয়ে মোড়ানো ৭৫ ফুট বাকা চাঁদ। বিশেষ দিবস উপলক্ষে এখান থেকে আকাশে দিকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত আলোকরশ্মি প্রক্ষেপণের জন্য রয়েছে ১৬ ধরনের বার্টিকেল বাতি।
মক্কা ক্লকের ডায়ালের ব্যাস ৪৩ মিটার। এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম ঘড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল তুরস্কের সিবাহী মলের ঘড়ি যার ব্যাস ৩৬ মিটার। মক্কা ক্লক লন্ডনের বিখ্যাত বিগ বেনের চেয়েও প্রায় ছয় গুণ বড়।
মক্কা ক্লক আরব সময়সূচি অনুযায়ী চলে। যা গ্রীনিক সময় সূচি থেকে ৩ ঘণ্টা এগিয়ে। এটির ডিজাইন করেছেন সুইচ ও জার্মানির প্রকৌশলীরা। এই ভবনটি নির্মাণের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার কোটি টাকা যা ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট বাজেটের চেয়েও বেশি।
সব থেকে বড় ঘড়ির পাশাপাশি এর ভবনটিও পেয়েছে পৃথিবীর তৃতীয় সুউচ্চ ভবনের তকমা। এছাড়াও মক্কা ক্লক টাওয়ারে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেলিস্কোপ সেন্টার, জাদুকর এবং সাত তারকা হোটেল।
তবে এই স্থাপনা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে তৈরি অটোমানদের বিখ্যাত দূর্গ ভেঙ্গে নির্মাণ করা হয় এই টাওয়ার ফলে অনেকেই এর বিরোধিতা করেন।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন….
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.