Beanibazarview24.com
মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল হকের বিরু’দ্ধে করা ধ’র্ষণ মা’মলা তুলে না নেয়ায় মসজিদে বি’চার বসিয়ে ধ’র্ষিতার পরিবারকে একঘরে করেছে গ্রামের মো’ড়লরা। সুনামগঞ্জের ছাতকে শুক্রবার বাদ জুম্মা মসজিদ প্রাঙ্গণে বৈঠক করে এ সি’দ্ধান্ত নেয়া হয়। সামাজিকভাবে বয়ক’ট করার আগে হতদরিদ্র পরিবারটিকে কোরবানির মাং’সও দেয়নি মো’ড়লরা।
জানা যায়, কালারুকা ইউনিয়নের নয়া লম্বাহাটি গ্রামের হতদ’রিদ্র পরিবারের ওই নারীকে স্ত্রীর সহায়তায় ধ’র্ষণ করে আসছিল স্থানীয় হাসনাবাদ কওমি মাদরাসার শিক্ষক মো. আব্দুল হক (৫৬)। তিন বছর আগে স্থানীয় এক প্রবাসীর সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দেয় মাওলানা আব্দুল হক। কিন্তু বিয়ের পরও আব্দুল হক তার সঙ্গে যৌ’ন স’ম্পর্কে জ’ড়াতে প্রস্তাব দিলে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এক পর্যায়ে তাকে হু’মকি ধা’মকি দিয়ে ধ’র্ষণ করে আব্দুল হক।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামীর নির্দেশে আব্দুল হকের বিরু’দ্ধে মা’মলা করতে চাইলে গ্রামের মো’ড়লরা দুই লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধা’মাচা’পা দিতে চায়। আব্দুল হক ও গ্রামের মো’ড়লরা এ সময় গ্রামে ফ’তোয়া জা’রি করে বিষয়টি গো’পন রাখার জন্য। এমনকি এটি প্র’কাশকারীকে পা’পের ভার ব’হন করতে হবে বলেও ফ’তোয়া দেয়।
কিন্তু ২০১৮ সালের এ ঘটনায় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদ ঘটনাস্থলে যায় এবং ঘটনার সত্যতা খুঁ’জে পায়। পরে তারা নি’র্যাতিত নারীকে আ’ইনি সহায়তার আশ্বাস দেয়। কিন্তু মহিলা পরিষদের নেতারা ফিরে যাওয়ার পর আব্দুল হকের সমর্থক মোড়লরা তার পরিবার ও তাকে অ’বরুদ্ধ করে রাখে।
অবশেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর ধ’র্ষক মাওলানা আব্দুল হক ও তার স্ত্রী সাকেরা বেগমের (৪৬) বিরু’দ্ধে ছাতক থা’নায় নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন আইনে মা’মলা করেন নি’র্যাতিত ওই নারী। মা’মলার পর থেকেই মো’ড়লরা তার পরিবারকে একঘরে করার হু’মকি দিয়ে আসছিল।
চলতি বছরের ৪ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত ধ’র্ষক মাওলানা আব্দুল হককে জে’ল হা’জতে পাঠান। আব্দুল হক জে’ল হা’জতে যাওয়ার পরও তার স্বজন ও মো’ড়লরা নি’র্যাতিত ওই নারীর বড় ভাইকে মা’মলা তুলে নিতে চা’প দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গত ১৬ আগস্ট জুম্মার নামাজের পর এ নিয়ে গ্রামের মসজিদে বৈঠক করে মো’ড়লরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে একঘরে করার ঘোষণা দেয়। সরকারি সড়কে চলাফেরা করতেও তাকে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদা সুলতানা বলেন, শুক্রবারই নি’র্যাতিত নারী ও তার ভাই আমাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা তাদেরকে আ’ইনের মাধ্যমে স’হায়তার কথা জানিয়েছি।
এদিকে সা’লিশকা’রী স্থানীয় ইউপি সদস্য আরশ আলী ঘ’টনার স’ত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসাদ মিয়ার সঙ্গে পঞ্চায়েতের একটি বিষয় ছিল। সে সেটা না মানায় তাকে সমাজের কোনো কাজে মি’শতে বারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাতক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাপস শীল বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যা’ন ও মেম্বারকে ত’লব করে বিষয়টি জেনে এমন ন্যা’ক্কা’রজ’নক কাজের জন্য ক’ঠিন ব্য’বস্থা নেয়া হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.