Beanibazarview24.com
সৌদি আরবে ধূ’মপান নিষিদ্ধ। আর ইসলামের দৃষ্টিতে ধূ’মপান মাকরুহ তথা চরম অবাঞ্ছিত কাজ। তারপরও মক্কায় দেখা যায় অনেকেই মসজিদে হারামের বাইরের চত্বরে ধূ’মপান করেন। রাস্তাঘাটেও ধূ’মপান করতে দেখা যায় অনেককে। এমনকি ইহরাম পরিহিত অনেককে মিনা, মুজাদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে ধূ’মপান করতে দেখা গেছে।
ধূ’মপানের এমন ব্যাপকতা থেকে হজযাত্রীদের নিরুতসাহ করতে সৌদি আরবের তা’মাক, ধূ’মপান ও মা’দক প্রতিরোধ সংস্থা ‘কা’ফা’ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে হজ মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ধূ’মপায়ীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে।-বার্তা২৪
সংস্থাটি হজের আনুষ্ঠানিকতার জায়গাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে। সেখান থেকে ধূ’মপায়ীদের মাঝে ধূ’মপান বিরোধী প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি কাউন্সেলিং করানো হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ধূ’মপান ছাড়তে হজযাত্রীদের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় ঔষধ দিয়ে থাকেন। ধূ’মপানের ক্ষ’তির বিষয়ে সচেতন করতে হাজিদের মাঝে পুস্তিকা, লিফলেট ও মিসওয়াক বিতরণ করা হয়।
এভাবে ভ্রাম্যমাণ সেবাকেন্দ্র থেকে এবার ১১ হাজার ৪৮০ ধূ’মপায়ীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। কা’ফার ক্লিনিকে সেবা নিতে এসে ধূ’মপানের বি’পত্তি ও ক্ষ’তিকর দিক সম্পর্কে অবগত হয়ে অনেকে ধূ’মপান ছেড়ে দিয়েছেন। চলতি হজ মৌসুমের ধূ’মপান ত্যাগীর সংখ্যা ৩১৩ জন। কা’ফার সেবাকেন্দ্র থেকে সেবা নিয়ে তার ধূ’মপান ছেড়ে দিয়েছেন।
মক্কায় ধূ’মপানের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি জন্য গঠিত কমিটির প্রধান আবু গাজালাহ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সৌদি আরবের দাতব্য মন্ত্রণালয়, হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কা’ফা ধূ’মপান বি’রোধী নানা কর্মসূচি প্রণয়ন করে থাকে।
সেই সঙ্গে কা’ফা মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতসহ মক্কায় হজযাত্রীদের ধূ’মপান বি’রোধী চিকিতসা দেয়। চার বছর ধরে এই কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। অবশ্য অনেক ধূ’মপায়ী পবিত্র হজপালন শেষে নিজ থেকেই ধূ’মপান ছেড়ে দেন। তাদের হিসাব এখানে আসেনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.