Beanibazarview24.com
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় নার্স বিলকিস আক্তার (৪০) হ’ত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তারই সহকর্মী জসিম। প’রকীয়ার জে’রে এ হ’ত্যাকা’ণ্ড ঘটে বলে জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে আদালতে দেয়া জবানব’ন্দিতে সহকর্মী প’রকীয়া প্রেমিক জসিম জানান, বিলকিসের সঙ্গে তার এবং উজ্জ্বল নামে আরও এক সহকর্মীর গভীর সম্পর্ক ছিল। তারা তিনজনই একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের বাঁধবাজার কাঞ্চনপুর বাঁশের সাঁকো সংলগ্ন এলাকা থেকে বিলকিসের ম’রদে’হ উ’দ্ধার করে পুলিশ।
বিলকিস শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হ’ত্যার ঘটনায় তার স্বামী রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় হ’ত্যা মা’মলা করেছেন।
পরে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাট এলাকা থেকে জসিম উদ্দিন (৩২) নামে একজনকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ। বিলকিস যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন জসিমও সেখানে চাকরি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমারখালী থানা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিলকিসের সঙ্গে জসিমসহ উজ্জ্বল নামে আরও একজনের গভীর সম্পর্ক ছিল। তারা তিনজনই একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। প’রকীয়া সম্পর্ক নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে জসিমের বি’রোধ দেখা দেয়।
তারই প্রেক্ষিতে বিলকিসকে জগতি ক্যানেলপাড়ে বেড়াতে নিয়ে যায় জসিম। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বিলকিসকে আঘা’ত করে জসিম। এতে তার মৃ’ত্যু হলে ব’স্তাব’ন্দি করে ক্যানেলের পানিতে ম’রদে’হ ভাসিয়ে দেয় সে।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, বুধবার দুপুরে জসিমকে কুষ্টিয়া আদালতে নেয়া হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় হ’ত্যার দায় স্বীকার করে জ’বানব’ন্দি দেয় জসিম। পরে তাকে কা’রাগা’রে পাঠানো হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.