Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

প্রিয়া সাহাদের সঙ্গী সেই মুহিবুল্লাহই রোহিঙ্গা সমাবেশের নেপথ্যে!







রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তারা পাঁচ দফা দাবিনামা দিয়েছে দেশে ফেরত যেতে। এরপর গতকাল রবিবার স্থানীয় প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সমাবেশ করে রীতিমতো হুমকি দিয়েছে, জোর করে ফেরত পাঠানোর পরিণাম ভালো হবে না। অভিযোগ উঠেছে, এই বিশাল সমাবেশ আয়োজনের পেছনে অর্থায়ন করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার অর্থ যোগানদাতা পাকিস্তান ভিত্তিক সংস্থা আল খিদমত ফাউন্ডেশন!



এই রোহিঙ্গা সমাবেশের নেপথ্যের এবং প্রকাশ্যের কারিগর মুহিবুল্লাহ নামের একজন। যিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান। এই সেই মুহিবুল্লাহ, যিনি মাসখানেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে নালিশ জানিয়ে এসেছেন।



ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার বিশ্বের ১৭টি দেশের ২৭ জন প্রতিনিধির মধ্যে মুহিবুল্লাহদের সঙ্গী ছিলেন বাংলাদেশের প্রিয়া সাহা। যিনি ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্ভট তথ্য প্রদান করে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেন।

বিভিন্ন দেশের এনজিওকর্মীদের পাশে নিয়ে সেই মুহিবুল্লাহই রোহিঙ্গা সমাবেশের মঞ্চের মধ্যমণি হয়ে যান। দুই বছর আগে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের মানবিকভাবে আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ।



কিন্তু এদের অপকর্মে এখন সিংহভাগ জনগন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ইয়াবা ব্যবসা, যৌন পেশা, চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। সেইসঙ্গে দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গণমাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদে দীক্ষিত করার জন্য বেশ কিছু সংগঠনের কাজ করার খবর এসেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।



মুহিবুল্লাহ কীভাবে আমেরিকা গেলেন, নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে থেকে কোন পাসপোর্টে গেলেন- এসব প্রশ্ন উঠছে। আরও প্রশ্ন উঠছে যে, রবিবারের সমাবেশে এত সুসজ্জিত ডিজিটাল ব্যানার কোথা থেকে এল? এক শ্রেণির এনজিও চাইছে রোহিঙ্গা সমস্যা জিইয়ে রাখতে; এতে তাদের পকেট ভর্তি হতে থাকবে। এর পেছনে কাদের উস্কানি রয়েছে তা শীঘ্রই খতিয়ে দেখা দরকার।



২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ব্র্যাকের এক গবেষণায় স্থানীয় ৫ শতাংশ মানুষ বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ঠিক হয়নি। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলের জরিপে তা বেড়ে ৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে (বিডিনিউজ ২৪/০৮/১৯)। কক্সবাজার-টেকনাফ-উখিয়ার জনগন এখন রোহিঙ্গা তাড়াতে পারলে বাঁচে। স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের প্রায় প্রতিদিন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয়দের ভাবনা, বিদেশি সাহায্য আর এনজিওগুলোর কারণে রোহিঙ্গারা কাজকর্ম না করে বেশ সুখেই জীবনযাপন করছে। লাখখানেক নতুন শিশুর জন্ম হয়েছে ক্যাম্পে। তারা এমন জীবন ফেলে মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় না। এমতাবস্থায় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে কেবল আশংকাই বাড়ছে।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.