কেপটাউনে বাংলাদেশি হ’ত্যা: বিয়ে হলেও স্ত্রীকে দেখা হল না উজ্জ্বলের

কেপটাউনের মালমাজবেরির কালবাসকারালের ডা’কাতের গু’লিতে দুই বাংলাদেশিসহ তিনজন নি’হত হয়েছেন। এ ঘটনায় আ’হত হয়েছেন আরও একজন।

গত রোববার (২৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত সাতটা ৪৫ মিনিটে কেপটাউনের মালমাজবেরির কালবাসকারালের নিজ দোকানে গু’লিবি’দ্ধ হন বাংলাদেশি যুবক উজ্জ্বল মাঝি (৩৩) ও তার দোকানের স্টাফ মো. আলম (৩৫)। তারা ঘটনাস্থলেই নি’হত হন।



নি’হত উজ্জল মাঝির বাড়ি শরিয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের কাইচকুরি গ্রামে। তার বাবার নাম শহর আলি মাঝি। মো. আলমের বাড়ি শরিয়তপুরের কাবাসপাড়ায়। তার পিতার নাম ইব্রাহীম মোল্লা। তিনি বাবা-মার একমাত্র সন্তান।

নি’হত আলম দুই বছর আগে আফ্রিকায় যান। নি’হত হওয়ার আগপর্যন্ত তিনি সেখানে চাকরিরত ছিলেন। দেশে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।



নি’হত উজ্জ্বল ২০০৮ সালে আফ্রিকায় যান। সেখানে নিজেই দোকান কিনে ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন। তিনি দেশে ফিরতে চাইলেও আফ্রিকার ওয়ার্ক পারমিট সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ফিরতে পারেননি।

উজ্জ্বল মাত্র এক মাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিয়ে করেছিলেন।



নি’হত উজ্জ্বলের চাচাত ভাই প্রতিবেশী ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, ডা’কাত দল দোকানে ঢুকে উজ্জ্বলকে গলায়, আলমকে মাথায় ও দোকানের কাস্টমার আফ্রিকান নাগরিক কালারডকে মাথায় গু’লি করে। তারা ঘটনাস্থলেই নি’হত হয়। তুহিন নামের অপর বাংলাদেশিরে পেটে গু’লি লাগে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন।



গু’লি চা’লানোর পর ওই ডা’কাত দল দোকানে লু’টপা’ট শুরু করে। তবে তারা নগদ টাকা পায়নি। এই হ’ত্যাকা’ণ্ডের উদ্দেশ্য নিয়ে স’ন্দিহান স্থানীয়রা। তবে কী কারণে হ’ত্যাযজ্ঞ তা জানা যায়নি।

নি’হতদের লাশ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে পুলিশ দুই হ’ত্যাকা’রীকে গ্রে’ফতার করেছে।



নি’হতের ভাই দুবাই প্রবাসী আক্তার জানান, আমরা পাঁচ ভাইর মধ্যে উজ্জ্বল ছিলেন অমায়িক। অল্প বয়সেই সে ব্যবসায় সফল হয়েছিল। আমার ভাইকে দেশের মাটিতে মাটি দেয়ার জন্য লা’শ নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করছি।